অনিরুদ্ধ ধরপরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। গুজরাট ভোটের ফলাফল বের হতেই কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী। দিল্লিতে দলের সদর দফতরে তিনি বলেন,সব রেকর্ডকে ভেঙে ফেলেছে BJP। ইতিহাস তৈরি হল।বিহার ও রামপুরে উপনির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়েও তিনি উচ্ছসিত। হিমাচল প্রদেশের জন্যও তিনি জানান, সবরকম উন্নয়নে সহায়তা করা হবে।গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম নরেন্দ্র কঠিন পরিশ্রম করবে যাতে ভূপেন্দ্র নরেন্দ্রর রেকর্ডকে ভাঙতে পারেন।এদিকে মোদী, অমিত শাহের নিজের রাজ্য গুজরাটে একেবারে রেকর্ড জয় বিজেপির। এই জয়ের ব্যাপারে আগে থেকেই আশাবাদী ছিলেন তাঁরা। তবে হিমাচল প্রদেশে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছে গেরুয়া শিবির। সব মিলিয়ে এবার গুজরাটে ৩১টি সভা করেছিলেন মোদী। গুজরাট জুড়ে কাজও করেছে মোদী ম্যাজিক। অন্যদিকে এবার তাৎপর্যপূর্ণভাবে গুজরাটের ভোটে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে আপ। আর ফলাফল বের হতেই দেখা যাচ্ছে ভোট কাটাকুটির নিরিখে কংগ্রেস ও আপ দুজনেই বিপাকে পড়েছে। মাঝখান থেকে উঠে এসেছে বিজেপি।হিসাব বলছে সব মিলিয়ে ১৫০টি আসন পেয়েছে বিজেপি। প্রায় ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। ২০১৭ সালে বিজেপির হাতে ছিল ৯৯টি আসন। ভোট শেয়ার ছিল ৪৯.১ শতাংশ। ২০০২ সালে ছিল সর্বোচ্চ ১২৭টি আসন। তখন মোদী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার অতীতের সব রেকর্ড কার্যত ভেঙে গেল। তবে এর আগে ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের দখলে ছিল ১৪৯টি আসন।এবার আপ পেয়েছে ১৩ শতাংশ ভোট। মাত্র পাঁচটি আসন পেয়েছে আপ। তবে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, বেশি আসন না পেলেও জাতীয় পার্টির মর্যাদা পেয়ে গেল আপ।