নিরাপত্তার দাবিতে বার বারই গলা ফাটিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। খুন হওয়ার আশঙ্কারও প্রকাশ করতেন। সম্প্রতি ভাঙড়ে অশান্তির পরে নওশাদ ফের এনিয়ে সরব হয়েছিলেন। অবশেষে রবিবার বিকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেলেন নওশাদ সিদ্দিকি। এদিন বিকালে কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী বিধায়কের বাড়ির সামনে আসেন।
এদিকে সুরক্ষার দাবিতে বার বারই সরব হয়েছিলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। প্রসঙ্গত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও চিঠি লিখেছিলেন নওশাদ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা চেয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন। তবে এতদিনে সেই দাবি পূরণ হল।
তিনি জানিয়েছেন, কোন ক্যাটাগরির নিরাপত্তা এখনই বলতে পারব না।তবে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার দেওয়ার ব্যাপারে। সেই বাহিনী এদিন এসেছে।
এদিকে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে আগেই জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা রাজ্যে তরফে। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি এসে থামল নওশাদের দুয়ারে। প্রসঙ্গত নওশাদ যখন অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছিলেন তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে সেই সুরক্ষার দাবি মঞ্জুর হয়ে যায়। এরপরই এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আইএসএফ বিধায়কের বাসভবনে চলে আসেন। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে যাওয়ার পরেই কিছুটা স্বস্তিতে আইএসএফের সাধারণ কর্মীরা। কারণ বিধায়কের সুরক্ষা নিয়ে তাঁদের একাংশও উদ্বেগে ছিলেন।
এদিকে গোটা মনোনয়ন পর্ব জুড়ে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়। তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্য়ে একেবারে মুখোমুখি লড়াই। প্রাণও যায়। এসবের মধ্য়েই অশান্তি থামানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও দেখা করতে গিয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি দেখা পাননি।
তবে তিনি তৃণমূলকে নিশানা করে একের পর এক তির ছুঁড়ছিলেন। অন্যদিকে তৃণমূলও তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন। বিগতদিনের একাধিক হোয়াটসঅ্য়াপ চ্যাটকে সামনে এনে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য দাবি করেন, আইএসএফ নেতা নওশাদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে। তবে এনিয়ে পালটা তোপ দেগেছিলেন নওশাদ।
সব মিলিয়ে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্য়ে সংঘাত ক্রমেই চরম জায়গায় গিয়েছে। ভোট পর্বে তা আরও মারাত্মক আকার নেয়। তার মধ্য়েই বারে বারে অগ্নিগর্ভ হয়েছে নওশাদের খাসতালুক ভাঙড়। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেলেন নওশাদ সিদ্দিকি।