বিজেপি–র মিছিলের ওপর ফের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপি–র হাইভোল্টেজ রোড–শো চলাকালীন রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে ছোড়া হল ইট, পাটকেল। বিজেপি–র অভিযোগ, চারু মার্কেট থানা এলাকায় দলের পতাকা হাতে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কর্মী–সমর্থকরা। এর পরই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ওই এলাকা।ইটবৃষ্টির পাল্টা ভাঙচুর করতে শুরু করে বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। ভাঙচুর করা হয় এলাকায় থাকা বাইক, সাইকেল রিকশা। হাতে বিজেপি–র পতাকা নিয়েই চারু মার্কেট থানা এলাকায় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি–র বিরুদ্ধে। সামনে তখন ট্যাবলোতে মিছিলের নেতৃত্বে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীও।এদিন টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ। দুপুর ৩টে নাগাদ বিপুল পরিমাণ সমর্থকদের নিয়ে মিছিল শুরু হয় প্রিন্স আনওয়ার শাহ রোডের মোড় থেকে। প্রথমে সেখানেই রাস্তার অপর প্রান্তে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় কিছু তৃণমূল সমর্থককে। তাঁদের হাতে ছিল ‘গো ব্যাক মীরজাফর’ লেখা পোস্টার, কালো পতাকা। মিছিল কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় সঙ্ঘর্ষ।জানা গিয়েছে, এদিন বিজেপি–র রোড–শো দেশপ্রাণ শাসমল রোড পার করার সময় রাস্তার অপর প্রান্তে তৃণমূলকর্মীরা তৃণমূলের পতাকা হাতে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে শুরু করে। তার পরই বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা পাল্টা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন। তখনই আচমকা রাস্তার উল্টোদিক থেকে মিছিলকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে আসতে থাকে। উত্তেজিত হয়ে মিছিল ছেড়ে ছুটে বেরিয়ে আসেন বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। যে গলি থেকে ইট–পাটকেল ছোড়া হচ্ছিল সেখানে ঢুকে তৃণমূল কর্মী–সমর্থকদের গলির মধ্যে ধাওয়া করে নিয়ে যান তাঁরা। চারু মার্কেট থানা এলাকার ওই গলিতেই শুরু হয় ঝামেলা। একের পর এক সাইকেল, রিকশা, বাইকে ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মোটরবাইকে। বিজেপি–র অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূলের লোকজন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি–র কর্মীরাই আগে অশান্তি শুরু করেছে। এদিকে, বিজেপি–র পক্ষ থেকে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের কথায়, মিছিলের অনুমতি নেওয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ কলকাতা পুলিশ। ঘটনায় এক বিজেপি সমর্থক মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে।উল্লেখ্য, ডিসেম্বরে ডায়মন্ড হারবারের শিরাকোলে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার কনভয়ে হামলা চালানো হয়। তা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। এর আগে নন্দীগ্রাম বা পুরুলিয়ায় শুভেন্দুর মিছিল ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল। গন্ডগোল হয়েছিল। আর কিছুদিন আগেই নিজের আরও নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।