রবিবার রাতে হোলকার স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ছয় উইকেটের জয়ের পিছনে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং শিবম দুবে। তাঁদের আক্রমণাত্মক হাফসেঞ্চুরিই জয়ের লক্ষ্যে ভারতকে পৌঁছে দিয়েছিল। সম্প্রতি তাঁদের পারফরম্যান্সের সৌজন্যেই ২০২৩-২৪ মরশুমের জন্য বিসিসিআই-এর চুক্তিবদ্ধ ভারতীয় খেলোয়াড়দের তালিকায় ঢুকে পড়তে চলেছেন এই দুই ক্রিকেটার। গত বছর ২৬ মার্চ বোর্ড ২০২২-২৩ মরশুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ ২৬ জন ভারতীয় খেলোয়াড়ের তালিকা ঘোষণা করেছিল। সেই তালিকায় অবশ্য এই মুম্বই জুটির নাম ছিল না।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রোসেউতে যশস্বী জয়সওয়ালের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল। চারটি টেস্ট খেলে যশশ্বী ৪৫.১৪ গড়ে ৩১৬ রান করেছিলেন। একটি করে সেঞ্চুরি এবং হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন যশস্বী। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই আক্রমণাত্মক বাঁ-হাতি ব্যাটারের টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল অগস্টে গায়ানায়। তার পর থেকে জয়সওয়াল ১৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। যার মধ্যে তিনি ১৬৩.৮১ অসাধারণ স্ট্রাইক রেট এবং ৩৫.৫৭ গড়ে ৪৯৮ রান করেছেন।
শিবম দুবে প্রায় তিন বছর পর ভারতীয় টি-টোয়েন্টি দলে প্রত্যাবর্তন করলেন। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে একটি দুর্দান্ত মরশুম কাটানোর পরে, ২০২৩ সালের অগস্টে আয়ারল্যান্ড সফরের জন্য বাছাই করা হয়েছিল শিবম দুবেকে। তিনি ২০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। করেছেন ২৭৫ রান। নিয়েছেন আট উইকেট।
রবিবার রাতে, দুবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩২ বলে অপরাজিত ৬৩ রানের নজর কাড়া ইনিংস খেলেন। ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার এখনও পর্যন্ত একটি দুর্দান্ত সিরিজ উপভোগ করেছেন এবং উভয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের ছয় উইকেটের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। মোহালিতে ৪০ বলে অপরাজিত ৬০ রান করে ভারতকে ১৫৯ রান তাড়া করতে সাহায্য করেছিলেনষ পাশাপাশি তাঁর মাঝারি গতির বোলিংয়ের হাত ধরে দুই ম্যাচে মোট নয় ওভার বল করে ২ উইকেটও তুলে নিয়েছেন তিনি।
গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে নিজের ওজন কমিয়ে এই সিরিজে শিবম তাঁর বোলিংয়ে উন্নতি করেছেন। তিনি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে পাটনায় বিহারের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের হয়ে ১৭ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ছ'টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন।
বিসিসিআই-এর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছে, ‘নির্বাচকেরা এবং টিম ম্যানেজমেন্ট চায় যে, ও আরও বেশি করে বল করুক, কারণ এটি একজন খেলোয়াড় হিসেবে দুবের জন্য অপরিসীম মূল্য যোগ করে। এই কারণেই ও এই সিরিজে বেশ কিছুটা বোলিং করছে। বল ভালো করলে, ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দলে নিজের জায়গা মজবুত করতে পারে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। কারণ ও চোটপ্রবণ হার্দিক পান্ডিয়ার আদর্শ ব্যাক-আপ হবে।’