খেলাধুলোকে ঘৃণা ছড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) শেয়ার করে এমনই মন্তব্য করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে তথা তামিলনাড়ুর ক্রীড়ামন্ত্রী উদয়নিধি। যে ভিডিয়োয় পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার মহম্মদ রিজওয়ানকে উদ্দেশ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শোনা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানি নেটিজেনদের একাংশ। যদিও সেই ভিডিয়ো নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বা বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
রবিবার (ইংরেজি মতে) রাত ১ টা ৩২ মিনিটে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ (পূর্বতন টুইটার) ওই ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) পোস্ট করেন উদয়নিধি। সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘স্পোর্টসম্যানশিপ এবং আতিথেয়তার জন্য ভারত বিখ্যাত। কিন্তু আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যেরকম আচরণ করা হল, তা একেবারে মেনে নেওয়া যায় না। চূড়ান্ত নীচে নেমে যেতে হল।'
সেইসঙ্গে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে বলেন, 'দুটি দেশের মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে খেলাধুলোকে তুলে ধরা উচিত। যা প্রকৃত অর্থে ভ্রাতৃত্বকে লালন-পালন করবে। কিন্তু ঘৃণা ছড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে খেলাধুলোকে ব্যবহার করার বিষয়টি নিন্দনীয়।’ উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই সনাতন ধর্মকে আক্রমণ শানিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যে পড়েছিলেন উদয়নিধি। তাঁকে তোপ দেগেছিল বিজেপি-সহ একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। যদিও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন উদয়নিধি। যিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের বিরোধী জোটের অন্যতম নেতা।
ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ
শনিবার বিশ্বকাপে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ভারত এবং পাকিস্তান। ভারতে ম্যাচ হওয়ায় স্বভাবতই গ্যালারিতে নীল ঢেউ ওঠে। পাকিস্তান সমর্থকদের কার্যত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। নীল সমুদ্রের মধ্যে সবুজ ছোপও দেখা যাচ্ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে প্রথমে ব্যাট করে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি পাকিস্তান। মাত্র ১৯১ রানে অল-আউট হয়ে যান বাবর আজমরা। শেষ আট উইকেট পড়ে যায় ৩৬ রানে।
সেই লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি শুরুতেই শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস রউফদের উপর যে চাপ তৈরি করেন, তারপর আর তাঁরা ভারতের কাজটা কঠিন করে তুলতে পারেননি। শেষপর্যন্ত ১১৭ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেট জিতে যায় ভারত। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন জসপ্রীত বুমরাহ। আর সেই ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত।