একটা সময় অফ ফর্মের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছিল তাঁকে। সমালোচনা পিছু ছাড়েনি তাঁর। প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ছেড়ে কথা বলেননি। রানে ফিরতে সময় লেগেছে প্রায় অনেক মাস। কিন্তু কোনও ভাবেই শতরান পাচ্ছিলেন না তিনি। হারাতে হয়েছে অধিনায়কত্বও। গত বছর এশিয়া কাপে অর্থাৎ ১০২০ দিন পর শতরান পান কোহলি। এরপর আর তাঁকে পিছনের ফিরে তাকাতে হয়নি। রানের মধ্যে ফিরতেই সেই পুরনো ছন্দে পাওয়া গিয়েছে কিং কোহলিকে। চেনা ছন্দ, সেই সঙ্গে বিপক্ষ দলের বোলারের চোখে চোখ রেখে লড়াই করেছেন তিনি।
এবারের বিশ্বকাপে বিরাটের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। এই বিশ্বকাপে ভালো ফর্ম করতে বিরাট নিজেও মরিয়া। তবে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলে দেখা যাবে ২০১৯ সালের আগে বিরাট শতরান করার পর যেমন ভাবে সেলিব্রেশন করতেন, সেই সেলিব্রেশনের পদ্ধতি যেমন বদলেছে, ঠিক তেমনই আগ্রাসনও দেখা যায় না। অনেকটাই শান্ত স্বভাবের দেখা যায় কিং কোহলিকে। হঠাৎ কেন এমন পরিবর্তন?এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
আইসিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিরাট জানান, 'গত দুই-আড়াই বছর ধরে আমি কি পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম সেটা আমি জানি। ওইসব পাগলের মতো সেলিব্রেশন এখন অতীত। সময় বেড়েছে, পরিস্থিতিরও বদল হয়েছে। অনেকেই অনেক উপদেশ দিয়েছে আমাকে। আবার কেউ বলেছে আমি যা করছি তা একেবারেই ভুল করছি। তবে যখন পাচ্ছিলাম না মাথায় অনেক কিছুই ঘুরছিল। কী করব ভেবে কুল করতে পারছিলাম না। তবে একটা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু পরিবর্তন ঘটেছে।'
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের পর গত বছর এশিয়া কাপ পর্যন্ত শতরান পাননি তিনি। একটা সময় অফ ফর্মের মধ্যে যেতে হয়েছে তাঁকে। সেই পরিস্থিতিতে ঠিক কী হয়েছিল বিরাটের, এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বিরাট বলেন, 'আমি আমার সেরা সময়ের ভিডিয়ো দেখতে থাকি। কোথায় ভুল হচ্ছে, সেইসব খুঁজতে থাকি, যাতে নিজের মন ভালো থাকে। আত্মবিশ্বাসের কোনও রকম ঘাটতি না হয়, সেই জন্য ভিডিয়ো দেখতে থাকি। সেই পরিস্থিতিতে আমার মাথায় ঠিক কি ঘুরছিল, তা কাউকে বলতে পারিনি। এতটাই মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছিলাম। খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। কী অবস্থায় ছিলাম সেটা একমাত্র আমি জানি।'