Gautam Gambhir on 2019 World Cup selection committee- ২০১৯ সালের ভারতীয় দল নিয়ে কড়া সমালোচনা করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং বর্তমান ধারাভাষ্যকার গৌতম গম্ভীর। তবে সেই দলের ক্রিকেটার বা কোচ নয়, সেই সময়ে ভারতীয় দলের নির্বাচক এমএসকে প্রসাদের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। আসলে সেই সময়ে বিসিসিআই-এর নির্বাচক এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ছিল ভারতীয় নির্বাচক কমিটির। সেই কমিটির তীব্র সমালোচনা করেছেন গৌতম গম্ভীর। ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মনে করেন ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে ২০১৯ সালের নির্বাচন কমিটি হল সবচেয়ে খারাপ নির্বাচন কমিটি। ২০১৯ বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে অম্বাতি রায়ডুকে বাদ দেওয়ার জন্য তীব্র সমালোচনা করেন গম্ভীর। এটি এমন একটি সিদ্ধান্ত ছিল যা সমগ্র ক্রিকেট সম্প্রদায়কে অবাক ও হতাশ করেছিল।
বিশ্বকাপ ২০১৯ এর আগে, অম্বাতি রায়ডু ধারাবাহিকভাবে ভারতের হয়ে চার নম্বরে ভালো পারফরম্যান্স করছিলেন। কিন্তু নির্বাচকরা রায়ডুর বদলে বিশ্বকাপ দলে বিজয় শঙ্করকে জায়গা দিয়েছিলেন। নির্বাচকরা বিজয় শঙ্করকে 3D খেলোয়াড় বলেছিলেন। এবং সেই কারণেই বিশ্বকাপ দলে অম্বাতি রায়ডুর জায়গায় বিজয় শঙ্করকে প্রতিস্থাপন করেছিলেন। এটি এমন একটি পদক্ষেপ ছিল যা অনেক প্রশ্ন তুলেছিল এবং সেই সময় ক্রিকেটপ্রেমীদের অবাক করেছিল।
ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের সময় মন্তব্য করার সময়, গম্ভীর এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এটি ছিল ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতের সবচেয়ে খারাপ নির্বাচক কমিটি। এর কারণ ছিল অম্বাতি রায়ডুর মতো একজন ব্যাটসম্যানকে বাদ দেওয়া। বিশ্বকাপে রায়ডুকে দলে অন্তর্ভুক্ত না করার সিদ্ধান্ত সকলকে অবাক করেছিল। রায়ডুর পরিবর্তে তারা অন্য ব্যাটসম্যানকে বেছে নিয়েছিলেন, যখন দলের প্রাথমিক উদ্বেগ ছিল চার নম্বর পজিশন।’
গম্ভীরের সমালোচনা ছিল বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে রায়ডুকে বাদ দেওয়া। দলে স্বচ্ছতার অভাবের কথাও বলেছিলেন তিনি। এটি এমন একটি বিষয় যা ক্রিকেট বিশ্বে ব্যাপক বিভ্রান্তি এবং বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। গম্ভীর যোগ করে বলেছেন, ‘এবং আসলেই কেউ জানে না কী কথোপকথন হয়েছিল। তাই এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। সেই সময়ে কে ছিলেন আমার মনে নেই, তবে দায়িত্ব যিনি ছিলেন তাঁকেই সব দায় নিতে হবে।
তবে এই বিষয়ে এখন কোনও কথা বললেননি এমএসকে প্রসাদ। তবে সেই সময়ে তিনি বারবার জানিয়েছিলেন যে 3D প্লেয়ার হওয়ার কারণেই বিজয় শঙ্করকে নেওয়া হয়েছিল। এই যুক্তি কেউই মেনে নিতে পারেননি। প্রসাদ যে ভুল ছিলেন সেটাই চার বছর পরে জানালেন গৌতম গম্ভীর।