২০২৩ সালের আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য যখন বাংলাদেশ দল ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন প্রাক্তন অধিনায়ক তামিম ইকবালের নাম ছিল না তাতে। তামিম ইকবাল এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বিবাদ ছিল এবং এর মধ্যেই তিনি অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তামিম ইকবালকে নিয়ে এবার খোলাখুলি মত প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শাবিক আল হাসান। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন কেন তামিম ইকবালকে ২০২৩ সালের আইসিসি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দলে জায়গা দেওয়া হয়নি। এই সময় শাকিব টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মার উদাহরণও দিয়েছেন। শাকিব বলেন, আমরা যখন দলে থাকি, তখন ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলের জয় আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, আপনি যদি সেঞ্চুরি করেন তারপরও দল হেরে যায়, তাহলে আপনার সেঞ্চুরির কোনও মানে নেই।
টি-স্পোর্টস-এর সঙ্গে আলাপকালে শাকিব আল হাসান বলেন, ‘রোহিত শর্মার মতো একজন খেলোয়াড়, যিনি নিজের কেরিয়ার তৈরি করেছেন-৭ নম্বর থেকে ওপেনার। দশ হাজারের বেশি রান করার পরেও যদি তিনি কখনও তিন বা চার নম্বরে ব্যাট করতে আসেন, তাতে কি কোনও বড় সমস্যা আছে? এটা খুবই শিশুসুলভ ব্যাপার, এটা বলার মতো যে এটা আমার ব্যাট, আমি ব্যাট করব, এই ব্যাট দিয়ে আর কেউ খেলতে পারবে না।’
শাকিব আরও বলেন, ‘একজন ব্যাটসম্যানকে দলের প্রয়োজনে যে কোনও ব্যাটিং পজিশনে ব্যাট করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। দল প্রথমে আসে, আপনি সেঞ্চুরি বা ডাবল সেঞ্চুরি করেন তাতে কিছু যায় আসে না এবং দল হেরে যায়। আপনি আপনার ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে কী করবেন?’ এ ছাড়া শাকিব স্পষ্টই বলেছেন, তামিমকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।
শাকিব আল হাসান আরও বলেছিলেন যে যখন তাকে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তিনি কখনই নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব চাননি। শাকিব বলেন, ‘এটা সম্ভব যে আমি একই সময়ে তিনটি ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিতে পারি এবং ভবিষ্যতের কথা কেউ বলতে পারবে না, কিন্তু এই মুহূর্তে আমার মনে এটাই চিন্তা। যতদূর বাস্তবতা আছে, আমি এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করব এবং এরপর ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করব না। আমি একটা জিনিস পরিষ্কার করে দিতে চাই যে - আমি ১৭ সেপ্টেম্বর অধিনায়কের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম এবং যখন আমি তা করেছিলাম, তখন আমার ধারণা ছিল না যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’