আজ থেকে লিডসে শুরু ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্টে প্রথমবারের জন্য অধিনায়কত্ব করতে দেখা যাবে শুভমন গিলকে। ভারতীয় দলের এই টপ অর্ডার ব্যাটারকে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং নির্বাচকরা বেছে নিয়েছেন টেস্ট দলের নেতৃত্বদানের জন্য। শুভমন গিলও তৈরি বিরাট, রোহিতদের অনুপস্থিতিতে নিজেকে প্রমাণ করতে। এতদিন যেহেতু দুই তারকাই লাইমলাইটে থাকত, তাই গিল-পন্তদের অনেক ভুলও ঢাকা পড়ে যেত। কিন্তু এখন বিরাটদের মতো সিনিয়ররা না থাকায় কাজটা কঠিন হয়েছে ভারতীয় দলের অধিনায়ক, সহ অধিনায়কের কাছে। লিডসে প্রথম টেস্টের রয়েছে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। প্রথম দিনে তেমন বৃষ্টি না হলেও সপ্তাহান্তে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অ্যাকুওয়েদারের আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে দুপুরের দিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। চতুর্থ দিনেও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। তবে প্রথম আর পঞ্চম দিনে নির্বিঘ্নেই খেলা চলার সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘলা আবহাওয়া থাকলে সেটা বোলারদের বাড়তি সুবিধা দিতে চলেছে, যেমনটা WTC ফাইনালের প্রথম দুই দিনে পেয়েছিলেন স্টার্ক, কামিন্স, রাবাদারা। তবে পাঁচদিনই মেঘলা থাকবে আকাশ, অর্থাৎ রোদের দেখা কমই মিলবে।
এমন পরিস্থিতিতে আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ভারতীয় দল চার সিমার নিয়ে দল সাজাতে পারে। যে কাজটা তাঁদের পরিবেশ অনুযায়ী সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সিঙ্গল স্পিনার হিসেবে রবীন্দ্র জাদেজা সুযোগ পাবেন তাঁর ব্যাটিং দক্ষতার জন্য। একান্তই যদি ব্যাটিংয়ের দিকে আর না ঝোঁকে ভারত, সেক্ষেত্রে কুলদীপ যাদবকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে। কিন্তু সুন্দরের খেলার সম্ভাবনা তুলনায় কম।
কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে মরিয়া ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। যেমন অধিনায়ক শুভমন গিল ২০২২ সালে গ্ল্যামরগানের হয়ে খেলেছিলেন, সেখানে চার ইনিংসে ২৪৪ রানও করেন তিনি। করুণ নায়ারও নর্দ্যাম্পটনশায়ারের হয়ে ১৪ ইনিংসে ৭৩৬ রান করেছিলেন, ছিল একটি দ্বিশতরানও। সারের হয়ে দুই মরশুমে সাই সুদর্শনও ২৮১ রান করেছিলেন। আর্শদীপ সিংও কেন্টের হয়ে কাউন্টিতে খেলেছেন। ফলে সেই অভিজ্ঞতাই এখন ইংল্যান্ড সিরিজে কাজে লাগাতে হবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের।