শুভব্রত মুখার্জি:- খেলার মাঠে ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন সময়ের সেলিব্রেশন আমাদের সব সময়ে নজর কেড়েছে। ক্রিকেট মাঠও তার ব্যতিক্রম নয়। শতরানের পর ব্যাটারদের উদযাপন, আউট করার পর বা রান বাঁচিয়ে ফিল্ডারদের উদযাপন থেকে উইকেট নেওয়ার পরে বোলারদের উদযাপন সবসময়ে ভাইরাল হয়েছে। ব্রেট লির 'পাম্প' সেলিব্রশন থেকে শোয়েব আখতারের বাজপাখির মতন উড়ে যাওয়া সেলিব্রেশন হোক বা হালফিলের মহম্মদ সিরাজের, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর স্টাইলে করা 'সিউ' সেলিব্রেশন ভাইরাল হয়েছে সব। তবে ডব্লুসিপিএলের ফাইনালে যা ঘটে গেল তা বিরল থেকে বিরলতম সেলিব্রেশন বলা যায়। ক্রিকেট মাঠে আগে কখনও এই সেলিব্রেশন দেখা গেছে বলে স্মরণ করা খুব কঠিন।
আরও পড়ুন… আমি প্রত্যেককে সম্মান করি কিন্তু… জানেন কার বিরুদ্ধে বল করতে ভয় পান জসপ্রীত বুমরাহ
মহিলাদের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগ অর্থাৎ ডব্লুসিপিএলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার অর্থাৎ ৩০ অগস্ট। এই দিন ত্রিনিদাদের তারৌউবাতে ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল। এই ম্যাচেই বার্বাডোস রয়্যালসের ক্রিকেটার আলিয়া অ্যালিনে নজর কেড়েছেন সকলের। তাঁর অভিনব কায়দায় উইকেট নেওয়ার পরে সেলিব্রেশন নজর কেড়ে নিয়েছে সকলের। ঘটনাটি ঘটেছে ফাইনাল ম্যাচের ১২ তম ওভারে। জানিলিয়া গ্লাসগোর উইকেট নেওয়ার পরে এই বিরল সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় আলিয়াকে। দুরন্ত একটি ক্যাচ তালুবন্দি করেন আমান্দা জেড ওয়েলিংটন। এরপরেই আলিয়া অ্যালিনে ছুটে যান তাঁর সতীর্থ আমান্দার কাছে।
আনন্দের চোটে মাঠেই শুয়ে পড়েন তারা সকলে। সেখানেই তারা শুয়ে অনেকটা সাঁতার কাটার মতন করে একে অপরের দিকে এগিয়ে গিয়ে সেলিব্রেট করতে শুরু করেন। এরপর মাঠে বুক দিয়ে শুয়েই তারা একে অপরের অন্যদিকে সাঁতারের মতন কেটে চলে যায়। এরপর মাঠে তারা স্পিন করতে থাকেন। এরপর উঠে দাঁড়িয়েও তারা একটা স্পিন করে উদযাপন শেষ করেন। প্রসঙ্গত ফাইনালে এদিন মুখোমুখি হয়েছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স এবং বার্বাডোস রয়্যালস। গতবারও বার্বাডোস রয়্যালস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।এবারও তারা তাদের শিরোপা ধরে রাখতে সমর্থ হল। ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট এই উইকেটটি। ম্যাচে আলিয়া অ্যালিনে ২১ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে তাঁর দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।