প্রাথমিকভাবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের জন্য ভারতীয় স্কোয়াডে জায়গা হয়নি রজত পতিদারের। তবে বিরাট কোহলি ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ানোয় তাঁর পরিবর্ত হিসেবে প্রথম ২টি টেস্টের ভারতীয় স্কোয়াডে জায়গা হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটারের। শেষে লোকেশ রাহুল ও রবীন্দ্র জাদেজা চোট পেয়ে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে ছিটকে যাওয়ায় বিশাখাপত্তনমে টিম ইন্ডিয়ার টেস্ট ক্যাপ হাতে পেয়ে যান রজত।
পড়ে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা অর্জন করেন প্রথম দর্শনেই। ভাইজ্যাগে ব্রিটিশ বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে রীতিমতো আত্মবিশ্বাসী দেখায় রজতকে। তবে অভিষেক টেস্ট ইনিংসে দুর্ভাগ্য তাড়া করে বেড়ায় পতিদারকে। যেভাবে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি, তাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলা ছাড়া উপায় নেই।
ম্যাচের প্রথম দিনে ভারতের প্রথম ইনিংসের ৫০.৪ ওভারে শ্রেয়স আইয়ার আউট হলে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন রজত। যশস্বী জসওয়ালের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন তিনি। তবে গোল বাঁধে ইনিংসের ৭১.১ ওভারে। স্পিনার রেহান আহমেদের বল কার্যত মাঝব্যাটে ডিফেন্স করেন রজত। তবে বলের বাড়তি বাউন্স ঠিক মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি তিনি।
বল রজতের ব্যাটে লেগে পিচে ড্রপ করার পরে পুনরায় পিছন দিকেই গড়িয়ে যায়। শেষমেশ তা স্টাম্পে গিয়ে লাগে। পা দিয়ে বল আটকানোর চেষ্টা করেও সফল হননি পতিদার। ফলে ব্যক্তিগত ৩২ রানের মাথায় আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ৭২ বলের লড়াকু ইনিংসে রজত ৩টি চার মারেন।
ভাইজ্যাগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা ভারত প্রথম দিনের শেষে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৬ রান তোলে। তারা সারা দিনে ৯৩ ওভার ব্যাট করে। ব্যক্তিগত দেড়শো রানের গণ্ডি টপকে অপরাজিত থাকেন যশস্বী জসওয়াল। তিনি ১৭টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৫৭ বলে ১৭৯ রানে নট-আউট থাকেন প্রথম দিনে।
এছাড়া ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা করেন ৪১ বলে ১৪ রান। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শুভমন গিল ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৬ বলে ৩৪ রান করেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫৯ বলে ২৭ রান করেন শ্রেয়স আইয়ার। অক্ষর প্যাটেল ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ বলে ২৭ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ১৭ রান করেন কেএস ভরত। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০ বলে ৫ রান করে নট-আউট থাকেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।