ভিভিএস লক্ষ্মণ ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হতে মোটেও রাজি নন। কেন এই অনীহা, সেটা রহস্যই বটে। তবে এই বছরের সেপ্টেম্বরে এনসিএ-র হেড অফ ক্রিকেট হিসেবে লক্ষ্মণের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এর পর কি লক্ষ্মণ জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির হেড হিসেবে থাকতে রাজি হবেন? বিসিসিআই কি তাঁকে ধরে রাখব? নাকি ভারতের কোচ হওয়ার জন্য লক্ষ্মণরে রাজি করাবে?
ভারতের কোচ হিসেবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরামর্শদাতা গৌতম গম্ভীর বিসিসিআই-এর কাছে একটি বড় বিকল্প। তবে গম্ভীরের সর্বসম্মত গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে বোর্ড সচিব জয় শাহ জাতীয় দলের সিনিয়র তারকাদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ভারতীয় কোচের সন্ধানে রয়েছে বিসিসিআই
জয় শাহ শুক্রবার একটি বিবৃতিতে দাবি করেছেন, বিসিসিআই অস্ট্রেলিয়ার কারও সঙ্গেই কোনও রকম কথা বলেনি। তিনি এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বোর্ড একজন ভারতীয় কোচেরই সন্ধান করছে। লক্ষ্মণকে বড় উত্তরসূরি হিসেবে মনে করা হচ্ছে। এনসিএ-র দায়িত্বে থাকার সময়ে লক্ষ্মণ ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন। তবে তিনি ভারতের কোচ হওয়ার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও রকম আবেদন জমা দেননি। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৭ মে।
লক্ষ্মণকে টিম ইন্ডিয়ার সেট আপে ধরে রাখতে মরিয়া বোর্ড
এদিকে বিসিসিআই-ও ৪৯ বছর বয়সী তারকাকে ধরে রাখতে চাইবে এবং সম্ভবত তাঁকে শীর্ষ পদের জন্য সম্মত হতে রাজি করাতে চাইবে। বিসিসিআইয়ের একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিটিআইকে বলেছেন, ‘এটি সম্পূর্ণ ভাবে জয়ের (শাহ) উপর নির্ভর করবে। তবে ভিভিএস-কে ভারতীয় সেট-আপের অংশ করতে ওকে রাজি করাতে হবে, অন্তত যখন ভারত লাল বলের সিরিজ খেলবে। যদি ভিভিএস পুরো সময় কাজ করতে রাজি না থাকে, তবে ভারত যখন এই বছর অস্ট্রেলিয়া এবং পরের বছর ইংল্যান্ডে লাল-বলের সিরিজ খেলবে, তখন ও পরামর্শদাতা হিসেবে থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: আমারও বয়স হচ্ছে- IPL-এ নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে কী ইঙ্গিত করলেন অশ্বিন?
এনসিএ-তে লক্ষ্মণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, তাঁর আইপিএলে ফিরে যাওয়া খুব কঠিন হবে না। কারণ তাঁর কাছে অন্তত একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির স্থায়ী অফার রয়েছে। তাছাড়া তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ভাষ্যকার-কাম-বিশ্লেষকও।
বিসিসিআই-এর সেই প্রাক্তন কর্তা বলেছেন, ‘সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পরামর্শদাতা হিসেবে এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে ও যা টাকা পেত, তার তুলনায় কম বেতনের প্যাকেজে কাজ করতে রাজি হয়েছিল ভিভিএস। ওর এই উদারতাকে ভুলে যাবেন না। ও সম্প্রচারকদেরও একজন। সুতরাং লক্ষ্মণের পরিষেবাগুলি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ভারতের পরবর্তী কোচ কি ফ্লেমিং? কার্যত উত্তর দিয়ে দিলেন CSK CEO
সম্প্রতি মুম্বইতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে, জয় শাহ স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, জাতীয় দলের জন্য প্রধান কোচ হিসেবে একজনই থাকবেন। কিন্তু এমন একটি ধারণা রয়েছে যে, লাল বলের ক্রিকেটে লক্ষ্মণের দক্ষতাকে পুরোপুরি এই ফর্ম্যাটের জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
লক্ষ্মণ এনসিএ-কে বিদায় জানালে, এই পদের জন্য একজন শক্তিশালী প্রার্থীর প্রয়োজন হবে। একজন বিকল্প রয়েছেন, তিনি হলেন বর্তমান জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর। রাঠৌর ব্যাটিং কোচ হিসেবে এনসিএ-তে ছিলেন এবং চার বছর জাতীয় নির্বাচকও ছিলেন। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন এবং তার মেয়াদও শেষ হচ্ছে আগামী মাসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরেই।