মুম্বইকে ৮০ রানে হারিয়ে রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল বিদর্ভ। গতবার ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছেই হেরে গিয়েছিল। আর এবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সেই রাহানেদের হারিয়েই ফাইনালে উঠল বিদর্ভ। আর গতবারের পুনরাবৃত্তি এড়াতে ফাইনালে (আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী ৩০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) কেরলের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) প্রাক্তন ক্রিকেটার করুণ নায়ারদের। যে কেরল ৭৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার রঞ্জির ফাইনালে উঠেছে। প্রথম ইনিংসে গুজরাটের থেকে দু'রানের লিড নেওয়ার সুবাদে ফাইনালের টিকিট পেয়ে যান সচিন বেবিরা। প্রথম ইনিংসে ৪৫৭ রান করে কেরল। সেখানে ৪৫৫ রানেই আটকে যায় গুজরাট। তারপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কেরলের স্কোর দাঁড়ায় চার উইকেটে ১১৪ রান। তারপর পঞ্চম দিনে চা-বিরতির পরে হাত মিলিয়ে নেন দু'দলের খেলোয়াড়রা।
শার্দুল ও তনুশের জুটিতেও প্রথম ইনিংসে রেহাই পায়নি মুম্বই
কেরল এবং গুজরাটের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও প্রথম ইনিংসেই ম্যাচটা হেরে গিয়েছিল মুম্বই। প্রথম ইনিংসে ৩৮৩ রান তোলে বিদর্ভ। জবাবে মাত্র ২৭০ রানে অল-আউট হয়ে যায় মুম্বই। আকাশ আনন্দ ১০৬ রান করলেও বাকি ব্যাটাররা তেমন দাগ কাটতে পারেননি। ১৮ রান করেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। সূর্যকুমার যাদব এবং শিবম দুবে শূন্য রানে আউট হয়ে যান। শার্দুল করেন ৩৭ রান। তনুশ ৩৩ রান করেন। তবে সেটা প্রথম ইনিংসে লিড পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
যশের ১৫১ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো জায়গায় বিদর্ভ
প্রথম ইনিংসে ১১৩ রানের লিড পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে বিদর্ভ বেশ চাপে পড়ে যায়। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন যশ রাঠোর এবং অক্ষর ওয়াড়কর। যশ করেন ১৫১ রান। আর ওয়াড়কর ৫২ রান করেন। তাঁদের সুবাদেই দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭০ রান তোলে বিদর্ভ। মুম্বইয়ের হয়ে ৪৪ ওভারে ৮৫ রান খরচ করে ছয় উইকেটে নেন মুলানি।
শার্দুল ও মুলানির ১০৩ রানের জুটি ভেঙে যায় রান-আউটে
চতুর্থ ইনিংসে ৪০৬ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বই শুরুতেই খেই হারায়। লক্ষ্যমাত্রা অনেকটা বেশি হলেও যে দলটা সেই রানটা তাড়া করতে পারত, সেই দলটার নামও মুম্বই। কিন্তু রাহানে, সূর্যকুমার, দুবেরে দাঁড়াতে পারেননি। তার ফলে ছয় উইকেটে মুম্বইয়ের স্কোর দাঁড়ায় ১২৪ রান। সেখান থেকে বাকি মরশুমের মতো লড়াই করতে থাকেন শার্দুল এবং মুলানি। সপ্তম উইকেটে তাঁরা ১০৩ রান যোগ করেন।
কিন্তু মুলানি রান-আউট হয়ে যেতেই ম্যাচটা কার্যত বিদর্ভের হাতে চলে আসে (৪৬ রান)। বাকি কাজটা করে দেয় দ্বিতীয় নতুন বল। দ্বিতীয় নতুন বলে ৬৬ রানে বোল্ড হয়ে যান শার্দুল। তবুও শেষে মরিয়া লড়াইয়ের চেষ্টা করেন মোহিত আওয়াস্তি এবং রস্টন ডায়াস। ৫৫ বলে ৫২ রান যোগ করেন। ২৩ রান করেন রস্টন। ৩৪ রান করেন মোহিত। মুম্বই অল-আউট হয়ে যায় ৩২৫ রানে। পাঁচ উইকেট নেন হর্ষ দুবে।