সিনিয়র মহিলাদের একদিনের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বড় জয় পেল বাংলার মহিলা ক্রিকেট দল। দাপটের সঙ্গে ৫ উইকেটে ম্যাচ পকেটে তুলে নিল বঙ্গ ব্রিগেড। সৌজন্যে দীপ্তি শর্মা ও ষষ্ঠী মন্ডলের বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং মিতা পালের দুর্দান্ত বোলিং। যদিও এদিন বল হাতেও দাপট দেখান দীপ্তি। তিনি হন ম্যাচের সেরা। একেবারে তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে দেয় ছত্তিশগড় মহিলা দলের ব্যাটিং অর্ডার। ব্যাট হাতেও স্বাচ্ছন্দ দেখায় বাংলার ব্যাটারদের। সব মিলিয়ে, শুরু থেকে শেষ অবধি ম্যাচে দাপট দেখায় বাংলা। এই জয়ের সুবাদে নকআউট পর্বে যাওয়ার দৌড়ে টিকে থাকলো বাংলা। এদিন অনেকেই প্রশংসা করেছেন দীপ্তি শর্মার পারফরম্যান্সেরও। অধিকাংশের মত ফর্ম অব্যাহত রেখেছেন দীপ্তি এবং প্রতিটা ম্যাচের সঙ্গে উন্নতি হচ্ছে তাঁর খেলার ধরনের।
শুক্রবার, অর্থাৎ ১২ই জানুয়ারি, দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয় দুই দল। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ছত্তিশগড়ের। পাশাপাশি, মাঝের ওভারগুলিতে উইকেট পড়তে থাকায় হঠাৎ চাপে পড়ে যায় তারা এবং শেষ দুই বল বাকি থাকতে ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায় গোটা দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রানের একটি নজরকাড়া ইনিংস খেলেন ওপেনার সৃষ্টি শর্মা। এছাড়া মানপ্রীত কৌর করেন ৩৮। বাংলার বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পান দীপ্তি শর্মা ও মিতা পাল। এছাড়া একটি উইকেট তোলেন সাইকা ইশাক। সব মিলিয়ে, এদিন পুরোপুরি দিশেহারা দেখায় ছত্তিশগড়ের মহিলা দলকে।
তবে অন্যদিকে রান তাড়া করতে নেমে একেবারেই ছন্দহীন দেখায়নি বাংলার ক্রিকেটারদের। সহজেই তারা তুলে নেয় প্রয়োজনীয় রান। যদিও পাঁচ উইকেট হারাতে হয় বঙ্গ ব্রিগেডকে। শুরুটা একেবারেই মনের মতো হয় গোটা দলের কাছে। অর্ধেক কাজ করে দেন ওপেনিং জুটি। দুই ওপেনার, দীপ্তি শর্মা ও ষষ্ঠী মন্ডল করেন ৪২। এরপর আরো একটি গোছানো ইনিংস আসে দলের তারকা ব্যাটার বিচা ঘোষের ব্যাট থেকে। তবে ছত্তিশগড়ের মতো বাংলাও মাঝের ওভারগুলিতে হারাতে থাকে উইকেট, যার জেরে কিছুক্ষণের জন্য চাপে পড়ে তারা। অবশেষে পাঁচ উইকেট খুইয়ে ৪১ ওভার শেষ হওয়ার জয় নিজেদের ঝুলিতে তুলে নেয় বাংলা। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার ঘোষণা করা হয় দীপ্তি শর্মাকে। এবার দেখার বিষয় শেষ অবধি পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছাতে পারে কিনা বাংলা।