ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনার পর এক বছরের বেশি সময় পর, আইপিএলে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন ঋষভ পন্ত, এরপর জাতীয় দলের জার্সিতে টি২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছেন। এই কামব্যাকের অনুভূতি একদম আলাদা, বলছেন ঋষভ।
ঋষভ পন্ত, অক্ষর প্যাটেল এবং অর্শদীপ সিং। ছবি- এএনআই
আইপিএল শেষ হতেই টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ইতিমধ্যেই দু-তিনদিন অনুশীলনও করে ফেলেছেন ঋষভ পন্ত, রোহিত শর্মারা। ভারতীয় দলের এবারে জোড়া অলরাউন্ডার থাকায় বোলিংয়ে যথেষ্ট বৈচিত্র এসেছে। কিন্তু অন্যান্যবার ভালো দল করেও ব্যর্থ হয়ে আইসিসির মঞ্চ থেকে ফিরতে হয়েছে কোহলিদের। শেষ এক দশকে একবারও আইসিসির ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি মেন ইন ব্লুজদের। প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অনুশীলনে ফিরেছেন উত্তরাখণ্ডের ছেলে ঋষভ পন্ত। ভয়ঙ্কর গাড়ি দুর্ঘটনা কাটিয়ে আইপিএলে ছন্দে দেখা গেছিল তাঁকে। সেই সুবাদে জাতীয় দলে নির্বাচকরা তাঁকে নিয়েছে। ফিরে এসে এবার ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানোকেই পাখীর চোখ করছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক। বলছেন, এই প্রত্যাবর্তনের অনুভূতিটা অন্যরকম।
শেষ কয়েক মাস বারবারই ঋষভ পন্ত বলেছেন, জাতীয় দলে ফেরা তো পরের কথা আদৌ বাঁচবেন কিনা সেটাই তিনি বুঝতে পারেননি দুর্ঘটনার পর। এরপর টানা ২ মাস দাঁত মাজতে পারেননি। তবুও অসম্ভব মনের জোরেই ফিরে এসেছেন। আইপিএলে পারফর্ম করে নিজেকে প্রমাণ করেই সুযোগ পেয়েছেন রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে। দুর্ঘটনার ৫২৭ দিন পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফের মাঠে নামবেন পন্ত, খেলা হয়নি গতবছরের ওডিআই বিশ্বকাপ। সেই জ্বালা জুড়াতে টি২০ বিশ্বকাপ জয়কেই পাখীর চোখ করছেন পন্ত।
টি২০ বিশ্বকাপ শুরুর আগে পন্ত বলছেন, ‘ভারতীয় দলের জার্সিতে খেলায় ফেরার অনুভূতিটা অন্যকরম। আশা করছি এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারব, আর এখান থেকেই ভালো কিছু করে দেখাবো। দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর, সময় কাটানোর পর খুব ভালো লাগছে। বিষয়টা উপভোগ করছি ’। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে ১৩ ম্যাচে ৪৪৬ রান করেছেন পন্ত। ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিচ অনেক আলাদা, তবু চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন পন্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পিচ নিয়ে ঋষভ পন্ত বলছেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশেই খেলে থাকি, কিন্তু এখানে খেলাটা একদম আলাদা। এখন বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেট ছড়িয়ে যাচ্ছে। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের কাছে যেমন আলাদা, তেমন মার্কিন ক্রিকেটের জন্য বিষয়টা খুব ভালো দিক। এখানে নতুন পিচ, তাই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি। সূর্যের তাপ এবং আলো একটু বেশি এখানে, তাই বিষয়গুোর সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি ’।