নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দলের হারের পর থেকেই সমালোচনা চলছে বাবর আজমকে নিয়ে। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার সময় বাবর আজম উইকেটে টিকে থেকেছিলেন বটে, কিন্তু দলের জেতার জন্য যে ধরণের মানসিকতার ক্রিকেট প্রয়োজন সেটা তাঁর থেকে লক্ষ্য করা যায়নি। অত্যাধিক ধীর গতিতে রান করায়, শেষ দিকে ব্যাটাররা লড়লেও বল কম থাকায় চাপে পড়ে যায় লোয়ার মিডল অর্ডার। ৬০ রানে সেই ম্যাচ হেরে পাকিস্তান এখন দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খাদের কিনারায়। অথচ কয়েকদিন আগেই পাক অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ানের গলায় শোনা গেছিল বাবর আজমের প্রশংসা।
বাবরের সমালোচনায় অশ্বিন
বাবর আজমকে নিয়ে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের গর্বের শেষ নেই। সবেতেই তাঁরা বলে থাকেন ‘কিং কর লেগা(অর্থাৎ বাবর আজমকে অনেকটা রাজার সঙ্গেই তুলনা করেন) ’। কিন্তু কিং কোহলি আর কিং বাবর যে এক নয়, সেটাই বোঝা গেছে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে, আর তারপরই বাবরের ইনিংসের সমালোচনার মুখর হলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
আরও পড়ুন-২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করতে ইচ্ছুক ভারত! পাঠানো হচ্ছে প্রস্তাব! হবে ক্রিকেটও? দেখে নিন
১টা কভার ড্রাইভে ম্যাচ জেতা যায় না-
বারব সেই ম্যাচে ৯০ বলে ৬৪ রান করেন। এর মধ্যে প্রথম ২৭ বলে করেন মাত্র ১২ রান, যেখানে দলের টার্গেট ছিল ৩২১ রান। অশ্বিনের কথায়, ‘বাবর আজম খুবই প্রতিভাবান এক ক্রিকেটার। অনেকে হয়ত রাগ করবে আমি ওর সমালোচনা করলে। কিন্তু একটা কথা বুঝতে হবে, গোটা ইনিংসে ১টা কভার ড্রাইভ মেরে ম্যাচ জেতানো যায় না, রানটা গোটা ইনিংস জুড়েই করতে হয় ’।
বাবর কি সুইপ শট খেলতেই পারে না?
অশ্বিন বলছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের দুজন অফ স্পিনার বোলিং করছিল সেদিন, কিন্তু বাবর আজম একবারের জন্যেও স্টেপ আউট করে শট খেলল না। ও ভুল বলে স্টেপ আউট করল। অথচ যখন গ্লেন ফিলিপস, ব্রেসওয়েলরা শট স্কোয়ার লেগে ফিল্ডার রাখল, তখন বাবর একবারও সুইপ খেলার চেষ্টা করল না। আমি ভাবছিলাম, এটা কি ওর আত্মবিশ্বাসের অভাবের জন্য হচ্ছে নাকি ও সুইপ শট খেলতেই পারে না ’।
ফখরের সঙ্গে বাবরের তুলনায় অশ্বিন-
এরপর চোট পাওয়া ফখর জামানেরও প্রশংসা করেন অশ্বিন। তাঁর মতে, চোট থাকা সত্ত্বেও ফখর যে মানসিকতা দেখিয়েছেন, তাঁর শিকি ভাগও দেখাতে পারেননি বাবর। টেস্টে ৫৩৭ উইকেটের মালিক বলছেন, ‘যতক্ষণ ফখর জামান ব্যাটিং করছিল, মিচেল স্যান্টনার কিন্তু বোলিং করতে আসেনি। যেখানে পেশিতে চোট নিয়ে খেলেও ফখর এত ঝুঁকি নিয়ে শট খেলছিল, সেখানে বাবর অতিরিক্ত সতর্কতা দেখাচ্ছিল। আমি জানিনা এটা দলের স্ট্র্যাটেজি ছিল, নাকি বাবর নিজেই উইকেটে টিকে থাকতে এরকম খেলেছে। তবে আমি এই খেলায় অত্যন্ত হতাশ। এত কিছুর পরেও ২৬০ পর্যন্ত পাকিস্তান গেছে সলমন আঘা আর খুশদিল শাহের লড়াইয়ের জন্য ’।