শুক্রবার রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালের শেষ দিনে এসে ফাইনালের টিকিট হাতে পেয়েছে কেরল। সঞ্জু স্যামসন না থাকলেও তাঁর দল আহমেদাবাদে দুরন্ত পারফরমেন্স করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বলা যায় এক সুতোর ব্যবধানেই গুজরাটকে পিছনে ফেলে তাঁরা ফাইনালে উঠল। কোয়ার্টারেও এমনই সামান্য ব্যবধানে তাঁরা ছিটকে দিয়েছিল জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীরকে।
গুজরাটের দশম ব্যাটার আর্জান নাগসাওয়ালা এদিন ব্যাট করতে নেমে সজোরে শট খেলেছিলেন, কিন্তু সেটাই কেরলের ক্রিকেটার সলমন নিজারের হেলমেটের লাগে সিলি পয়েন্টে। এরপর তা চলে যায় উইকেটের পিছনে, যেখানে ক্যাচ নেন কেরলের হয়ে ফার্স্ট স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা সচিন বেবি। আর এই আউটই কার্যত কেরলকে পৌঁছে দেয় রঞ্জির ফাইনালে আর গুজরাটকে ছিটকে দেয় প্রতিযোগিতা থেকে।
শেষ দিনের সকালে হাতে তিন উইকেট নিয়ে ২৮ রান তাড়া করতে নেমেছিল গুজরাট। কেরল দল এই অবস্থায় ভরসা রাখে আদিত্য সারভাতে এবং জলজ সাক্সেনার ওপর। এই প্রথম ৭৪ বছরের তাঁদের ক্রিকেট ইতিহাসে কেরল দল রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠল। কেরলের প্রথম ইনিংসে ৪৫৭ রানের জবাবে গুজরাট করে ৪৫৫ রান। প্রথম ইনিংসে ২ রানের লিড পায় কেরল, আর তাতেই রঞ্জির ফাইনালের টিকিট পায় তাঁরা।
১৯৫১-৫২ সালে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফিতে খেলে কেরল। ৭৪ বছর পর এক অদ্ভূত আউটের সৌজন্যে কের দল পৌঁছে গেল রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে। গুজরাটের আর্জান নাগসাওয়ালার শট সপাটে সলমন নিজারের হেলমেটে লেগে সচিন বেবি ক্যাচ নিতেই প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পরে গুজরাট, আর সেই সুবাদেই ফাইনালে ওঠে কেরল।
২০১৭ সাল থেকে আইসিসির তরফে নয়া নিয়ম করা হয়, যেখানে বলা হয় ব্যাটারের সামনে থাকা ফিল্ডারের হেলমেটে লেগে কোনও বল যদি ক্যাচ ওঠে, তাহলে তা বৈধ। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের ঘটনার পর ব্যাটারদের ক্ষেত্রে ফাস্ট বোলার এবং মিডিয়াম পেসারদের বিরুদ্ধে হেলমেট পরা বাধ্যতামুলক হয়ে যায়। এছাড়াও স্টাম্পের সামনে উইকেটকিপার থাকলে তাঁকে হেলমেট পড়তেই হবে। পাশাপাশি সিলি পয়েন্টসহ ব্যাটার কয়েকমিটারের মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও হেলমেট পড়া বাধ্যতামুলক করে দেওয়া হয়।
এমসিসির ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটের কমিটির সদস্য যেমন রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা , সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সুপারিশেই জানানো হয় যে বল যদি সামনে থাকা ফিল্ডারের হেলমেটে লেগে ক্যাচ হয়, তাহলে তা বৈধ বলেই গণ্য করা হবে। আর সেই নিয়মের দৌলতেই এবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে পৌঁছে গেল কেরল দল।