পাকিস্তান যা পারে, তা অন্য দল পারেনা। নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ করা নয়। অন্তত ভালো ফিল্ডিং করলে আইসিসি মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিদা দার-ফতিমা সানাদের দলও পৌঁছাতে পারত। কিন্তু পাক মহিলা ক্রিকেটাররা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ক্রিকেটটা খেললেন, তাতে ভারতের বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরাও সেমিতে পৌঁছানোর সুযোগ নষ্ট করলেন।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটা সময় বেশ ভালো জায়গায় ছিল পাকিস্তান দল। নাশরা সান্ধু, সাদিয়া ইকবালদের আঁটোসাটো বোলিংয়ে তেমন সুবিধা করে উঠতে পারেনি কিউয়িরা। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তাঁরা। যাও বা রান তাঁরা তুলছিলেন, সেটা আসছিল অত্যন্ত ধীর গতিতে। ফলে ম্যাচ আয়ত্তে ছিল পাকিস্তানের। তবে এত খারাপ ফিল্ডিং পাক শিবির করল, যা দেখে তাঁদের দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা হতাই হবে।
আরও পড়ুন-খারাপ সময়ে ‘বাবর আজম’ দল থেকে বাদ পড়তেই ক্ষোভ প্রকাশ! পাক বোর্ডের রোষানলে ফাখর জামান!
ফাতিমা সানা, নিদা দারদের বলে একাধিক ক্যাচ উঠল, আর সেগুলো পরপর মিস করতে থাকলেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। হাতের সামনে লোপ্পা লোপ্পা ক্যাচও তাঁরা ফেললেন। দেখে বোঝা যাবে না, ফিল্ডিং অনুশীলনে তাঁদের ক্যাচ ধরা প্র্যাকটিস করানো হয়েছে না ক্যাচ ছাড়া। ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী সংস্থার তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হল, যেখানে হিসেব দেওয়া হল ম্যাচে শুধু পাকিস্তান দল একা কতগুলো ক্যাচ মিস করেছে।
আরও পড়ুন-‘ইন্ডিয়া কো হারানা মুশকিল হি নেহি…’ বিধ্বংসী ভারতকে দেখে আতঙ্কিত কিউয়ি কোচ…
ক্রিকেটে বহু প্রচলিত একটি প্রবাদ ক্যাচেস উইন ম্যাচ। কথাটা যে ধ্রুব সত্য সেটা সম্প্রতি পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ডেভিড মিলারের ক্যাচ বাউন্ডারি লাইনে সূর্যকুমার যাদব নিয়েই প্রমাণ করে দিয়েছেন ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল। স্রেফ সূর্য একাই নন, ভারতের অনেক ফিল্ডারই দুরন্ত সব ক্যাচ নেন ওডিআই এবং টি২০ বিশ্বকাপে। তবে ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে ভারতের মহিলা দল এবং পাকিস্তানের মহিলা দল দাঁড়িয়ে রয়েছে একই জায়গায়।
আরও পড়ুন-বুমরাহকে ভয়! বর্ডার গাভাসকর ট্রফিতে ওপেনিং করবেন না! আগেই বোর্ডকে জানালেন স্মিথ!
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ভারতের রিচার ঘোষসহ বাকিরাও অনেক ক্যাচ মিস করেছিলেন। এমনও হয়েছে পরপর দুটো ক্যাচ মিস করেছে ভারত। সেই ম্যাচে হারের পরই ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা বলা শুরু করে দিয়েছিলেন, টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য যদি ভারতকে পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়, তার থেকে বিদায় নেওয়া ভালো।
পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা অবশ্য নিজেদের দেশের স্বার্থেই মাঠে নেমেছিলেন, সেমির ক্ষীণ সুযোগ ছিল বলে। কিন্তু সেটা আর কাজে লাগাতে পারলেন কই? পরপর ক্যাচ ছাড়ার পর, মাত্র ১১১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১১.৪ ওভারেই ৫৬ রানে অলআউট হয়ে গেল ফতিমা সানার দল।