বৃহস্পতিবার একই সঙ্গে মেয়েদের বিশ্বকাপের টিকিট পকেটে পোরার সুযোগ ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সামনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে বাংলাদেশে আপাতত সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। তাদের ভাগ্য ঝুলে থাকে। তবে পাকিস্তান কোনও ভুল করেনি। তারা উইমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে দুর্বল থাইল্যান্ডকে অনায়াসে হারিয়ে দেয় এবং নিজেদের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই পরবর্তী বিশ্বকাপের টিকিট পকেটে পোরে।
থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে। হাতে বড়সড় পুঁজি না থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তান ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। কেননা পালটা ব্যাট করতে নামা থাইল্যান্ডকে ৩৪.৪ ওভারে মাত্র ১১৮ রানে অল-আউট করে দেয় পাকিস্তান।
ক্যাপ্টেন ফতিমা সানা ব্যাটে-বলে পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি প্রথমে ব্যাট হাতে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ বলে ৬২ রান করে নট-আউট থাকেন ফতিমা। পরে ৮ ওভার বল করে ৩৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন পাকিস্তানের ক্যাপ্টেন।
বড় ধাক্কা বিসিসিআইয়ের
পাকিস্তান বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পাওয়া মানে ভারতের মাটিতে গোটা বিশ্বকাপ আয়োজিত হওয়া সম্ভব নয়। কেননা আইসিসি ইতিমধ্যেই স্থির করেছে যে, আইসিসি ইভেন্টে ভারত যেমন পাকিস্তানের মাটিতে খেলবে না, ঠিক তেমনই পাকিস্তানও ভারতের মাটিতে খেলতে নামবে না।
২০২৫ মহিলা বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব রয়েছে বিসিসিআইয়ের হাতে। যার অর্থ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে এবার টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে হাইব্রিড মডেলে। অর্থাৎ, পাকিস্তানের ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে। এমনকি পাকিস্তান যদি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে, তবে সেই ম্যাচও আয়োজিত হবে ভারতের বাইরে।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের জয়ে ব্যাট হাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন সিদরা আমিন। তিনি ১০৫ বলে ৮০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। মারেন ৯টি চার। মুনিবা আলি করেন ১৮ রান।
পরে বল হাতে দলের পারফর্ম্যান্সে কার্যকরী যোগদান রাখেন নাশরা সান্ধু ও রামিন শামিম। নাশরা ৮ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। শামিম ৭.৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ১৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। ৪ ওভারে ১১ রান খরচ করে ১টি উইকেট নিয়েছেন সাদিয়া ইকবাল।