বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > Ranji Trophy: সেঞ্চুরি করেই ব্যাট থেকে ধুলো ঝাড়লেন KKR তারকা, টার্গেট কি যশ ধুল?- ভিডিয়ো
পরবর্তী খবর
Ranji Trophy: সেঞ্চুরি করেই ব্যাট থেকে ধুলো ঝাড়লেন KKR তারকা, টার্গেট কি যশ ধুল?- ভিডিয়ো
2 মিনিটে পড়ুন Updated: 27 Jan 2024, 07:08 PM ISTTania Roy
এই মরশুমে ডিডিসিএ-এর সঙ্গে ঝামেলার কারণে দিল্লি ছেড়ে উত্তরপ্রদেশে অধিনায়ক হিসেবে যোগ দেন নীতিশ রানা। নীতিশ সরতেই যশ ধুলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল দিল্লির নেতৃত্বের। যদিও এক ম্যাচ ভরাডুবিতে তাঁকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। সেঞ্চুরি করে যেন দিল্লির ক্রিকেট কর্তাদের জবাব দিলেন নীতিশ রানা।
নীতিশ রানা।
নীতিশ রানার দাপটে কাঁপছেন মুম্বই। প্রথমে উত্তরপ্রদেশের বোলাররা ল্যাজেগোবরে করেছেন। তারা কেকেআর তারকার দাপুটে মেজাজ। সব মিলিয়ে জ্বলেপুড়ে ঝাড়খাড় মুম্বইয়ের রঞ্জি টিম। মুম্বই এর আগে এই মরশুমে রঞ্জির তিনটি ম্যাচ খেলেছে। আর তিনটিতেই জিতেছে। ২০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-বি-তে শীর্ষস্থান দখল করেছে। সেখানে এই গ্রুপের দল উত্তরপ্রদেশ তিনটি ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ড্র করেছে। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে চারে। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে মুম্বইয়ের ঘরের মাঠে ওয়াংখেড়েতে তাদের পাশা বদলে দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ।
নীতিশ রানার ব্যাটে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের চেয়ে এগিয়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। ১২৬ রানের লিড নেয় উত্তরপ্রদেশ। রানা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটি রানার সপ্তম সেঞ্চুরি। তাঁর ১২০ বলে ১০৬ রান উত্তরপ্রদেশকে শক্ত ভিতের উপক দাঁড় করিয়ে দেয়। কেকেআর তারকার ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছক্কা। নীতিশ যখন শামস মুলানির বলে ক্যাচ আউট হন, তখন উত্তরপ্রদেশে স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২৯০ রান। নীতিশ আউট হতেই অবশ্য বাকি চার উইকেট খুব দ্রুত পড়ে যায়। ৩২৪ রানে অলআউট হয়ে যান উত্তরপ্রদেশ।
নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর নীতিশ রানা প্রাক্তন সতীর্থ যশ ধুলকে পরোক্ষ ভাবে খোঁচা দেন। সেঞ্চুরির পর রুমাল বের করে রানাকে প্রথমে ব্যাটের ধুলো ছাড়তে দেখা যায়। তার পর ব্যাট উঠিয়ে সেলিব্রেট করেন তিনি। আসলে এই মরশুমে নীতিশের পরিবর্তে যশ ধুলকে দিল্লির অধিনায়ক করা হয়েছিল। এবং এর পরেই রানা এবং ধুল দু'জনের মধ্যেই সমস্যা শুরু হয়। তার পরেই রানা দিল্লি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এবং উত্তরপ্রদেশের অধিনায়ক হিসেবে তাদের দলে যোগ দেন নীতিশ রানা। এদিকে রঞ্জির এক ম্যাচে ভরাডুবি হতেই ধুলকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
টস জিতে মুম্বইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। তবে ইউপি-র বোলারদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হতাশ করেন মুম্বই ব্যাটাররা। শামস মুলানি একমাত্র হাফসেঞ্চুরি করেন। তিনি সাতে নেমে ৫৭ রান না করলে, আরও দুরাবস্থা হত মুম্বইয়ের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন প্রসাদ পাওয়ার। এছাড়া ওপেন করতে নেমে ২৭ করেন জয় বিস্তা। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। আর কেউই ২০ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে মাত্র ৮ রান করে ফের নিরাশ করেন। ১৯৮ রানে অলআউট হয়ে যায় মুম্বই। ইউপি-র অঙ্কিত রাজপুত এবং আকিব খান তিনটি করে উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার এবং শিবম শর্মা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উত্তরপ্রদেশের নীতিশ রানা সেঞ্চুরি করেন। এছাড়া ৬৩ রান করেন সমর্থ সিং। আকাশদীপ নাথ ৪১ রান করেন। ৩১ করেন শিবম শর্মা। ২৮ করেন সমীর রিজভি। ২৭ করেন আরিয়ান জুয়াল। উত্তরপ্রদেশের বাকিরা অবশ্য ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। তাও তারা ৩২৪ করে ১২৬ রানের লিড নেয়। মুম্বইয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন রয়স্টন ডায়াস এবং শিবম দুবে। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই বিনা উইকেটে ২৪ রান করেছেন। জয় বিস্তা ১৫ এবং ভূপেন লালওয়ানি ৯ করে ক্রিজে রয়েছেন। প্রসঙ্গত, এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত থাকা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে জিততেই হবে উত্তরপ্রদেশকে। হারলেই পরের রাউন্ডের আশা শেষ হয়ে যাবে।