বাবার বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে মুখ খুললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ছেলেকে লাগাতার অপদস্থ হতে হচ্ছিল বলে যে অভিযোগ করেন অশ্বিনের বাবা, তা নিয়ে ভারতের সদ্য প্রাক্তন তারকা দাবি করলেন, মিডিয়ার সামনে সাজিয়ে-গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না ‘সিনিয়র’ অশ্বিন। তারকা অফস্পিনারের কথায়, ‘আমার বাবা মিডিয়ার জন্য প্রশিক্ষিত নয় (তামিলের একটা প্রচুর হাসির স্মাইলি)। আমি কখনও ভাবিনি যে তুমি বাবাদের মন্তব্যের ওই ঐতিহ্যবাহী ট্র্যাডিশনকে অনুসরণ করবে (একটা হাসির স্মাইলি)। সবাইকে আর্জি জানাচ্ছি যে বাবাকে ক্ষমা করে দিন এবং বাবাকে একা থাকতে দিন।’
বাবার অভিযোগে মান্যতা অশ্বিনের?
অশ্বিন যে কথা বলেছেন, তারপরে একটি মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তারকা অফস্পিনার কি আদতে বাবার অভিযোগে মান্যতা দিয়ে দিলেন? কারণ মিডিয়ার সামনে কথার ‘দক্ষতা’ বলতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কতটা কূটনৈতিকভাবে কথা বলতে পারেন, সাধারণত সেটা বোঝানো হয়। ‘কঠিন’ প্রশ্নের মুখে কতটা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে উত্তর দিতে পারেন, যাতে বিতর্ক না ছড়ায়। কিন্তু অশ্বিনের বাবার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি।
‘কতদিন সহ্য করত ও?’, বলেন অশ্বিনের বাবা
সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-তে অশ্বিনের বাবা জানান, ১৪-১৫ বছর ধরে ভারতের হয়ে খেলছিলেন অশ্বিন। অবসর নেওয়ার পরে স্বভাবতই একটা পরিবর্তন এসেছে, যা অবাক করে দেওয়ার মতো। আবার এটাও ঠিক যে অশ্বিন যে আচমকা অবসর নিয়েছেন, তাতে তাঁরা পুরোপুরি অবাক হননি। সেটা তাঁদের কাছে একেবারেই অবাক করার মতো ঘটনা নয়। তাঁর কথায়, ‘কারণ অপমানিত হয়ে যাওয়ার ধারাটা চলছিল। ওই বিষয়গুলো ও কতদিন সহ্য করতে পারত? সম্ভবত নিজেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
'বাবারা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হন', অশ্বিনের পাশে নেটপাড়া
সেই আবহে অশ্বিন যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থাকলেও নেটিজেনদের একাংশ মনে করেছেন, ভারতের তারকা স্পিনার এত ঘুরিয়ে কিছু বলেননি। অহেতুক একটা বিষয় নিয়ে বিতর্ক হচ্ছিল। তাতেই নিজের স্টাইলে ইতি টেনে দিয়েছেন। এক নেটিজেন বলেন, 'বাবারা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ হন। আমার মনে হয় না, তিনি যেটা বলেছেন, সেটা নিয়ে এত গভীরে গিয়ে বিশ্লেষণ করার কোনও মানে আছে।'
আরও পড়ুন: cr
একইসুরে অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘এই বিষয়টা স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আন্না। লোকজন অহেতুক বিতর্ক তৈরি করতে চান। পরিবারের সঙ্গে অবসর জীবন উপভোগ করুন। আর ভবিষ্যতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা। আমি জানি যে ভবিষ্যতের জন্য আপনার অনেক পরিকল্পনা আছে।’ অপর একজন বলেন, 'হাহাহা! অশ্বিনের অন্যতম সেরা টুইট।' এক নেটিজেন বলেন, ‘ওয়েল ডান অশ্বিন। অহেতুক জিনিসে ইতি টেনে দিয়েছেন।’