আজ নববর্ষ। বাঙালির নতুন বছরের শুরু। স্বাভাবিকভাবেই আজকের দিনে মিষ্টিমুখ করাটাই রীতি। সেই মতো বিকেল, সন্ধে হলেই হালখাতা করতে বেরিয়ে পড়া পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে। আজকে বাঙালির এটাই প্ল্যানিং বললে চলে। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স পরিবারের যারা সদস্য তাঁরা কোথায় যাবে, নববর্ষের দিনও তো ম্যাচ রয়েছে। তবে পয়লা বৈশাখের আনন্দ যে ভাগ করে নিতেই হবে। কারণ নাইট শিবিরে বাংলার ক্রিকেটার সেরকম না থাকলেও দলের কর্ণধার যে অত্যন্ত বঙ্গপ্রেমী। এক সময় ছিলেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। এখনও সময় পেলেই চলে আসেন কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভালে। তাই তার দলের খেলোয়াড়রা নববর্ষ পালন করবে না, তা কখনও হয়। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ নববর্ষের প্রাক্কালেই ক্রিকেটারদের সঙ্গে জমিয়ে করলেন ভূরিভোজ। তাও একেবারে বাঙালি খাওয়া দাওয়ায়।
রেস্তোরাঁয় গিয়ে বেশ জমিয়েই খাওয়া দাওয়া করতে দেখা গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স ক্রিকেটারদের। পাতে পড়ল বাঙালির প্রিয় শুক্তো, মাছের পাতুরি, ফিস ফ্রাই, গলদা চিংড়ির মতো প্রীয় খাবার। নববর্ষে একটু মটন না হলে কি আর হয়। সেই ব্যবস্থাও ছিল নাইট ক্রিকেটারদের জন্য। তবে খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডায়েট। তাই মন চাইলেও কবজি ডুবিয়ে আর খেতে পারলেন না ক্রিকেটাররা। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে রেস্তোরাঁতে খেতে দেখা গেল চেতন সাকারিয়া, শ্রীকর ভরতদের। ভারতীয় উইকেটরক্ষক ভরতের বেশ মনে ধরেছে মটন এবং পাতুরি।
আরও পড়ুন-IPL 2024-‘এত কম বয়সে অধিনায়ক হব ভাবতে পারিনি’, অকপট শ্রেয়স আইয়ার
ক্রিকেটারদের সঙ্গেই সেই রেস্তোরাঁয় এসেছিলন বাংলা সিরিয়ালের অত্যন্ত পরিচিত মুখ নীল ভট্টাচার্য। তবে সস্ত্রীক নন। তৃণাকে ছাড়াই এসেছিলেন। ফলে বাড়ি ফিরে তৃণা তাঁকে আর ডিনার করতে দিয়েছেন কিনা, তা ঠিক জানা নেই। কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কড়া শাসন নিয়ে অনেক কথা হলেও মাঠের বাইরে কিন্তু মানুষটা একদমই খোলা মেলা। আফগানিস্তান থেকে আসা ক্রিকেটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে নিজে হাতেই খাইয়ে দিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিত। খাওয়া দাওয়া শেষে বাংলার মানুষকে নতুন বছরের জন্য শুভেচ্ছাও জানান সকলে।
তবে এর থেকেও আরও মজার বিষয় আসে রেস্তোরাঁর তরফে দেওয়া ইনস্টাগ্রাম রিলের একদম শেষপ্রান্তে। যেখানে সৌরাষ্ট্রের ক্রিকেটার চেতন সাকারিয়া ভাঙা ভাঙা বাংলায় বললেন, ‘এবার ল্যাদ খাব’। বিষয়টা নাইট সমর্থকদের খুব মনে ধরেছে। কারণ বাঙালির মুখে এই শব্দটি অত্যন্ত পরিচিত। খাওয়ার পর কিছু হোক না হোক ল্যাদ খাওয়া তো বহু বাঙালির অত্যন্ত পছন্দের। তাই রিলের শেষ সংলাপটি বেশ পছন্দ হয়েছে সমর্থকদের।