২০ জুন থেকে ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য বিসিসিআই শীঘ্রই দল নির্বাচন করতে চলেছে। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ সফরের আগে, পেস আক্রমণের প্রধান শক্তি জসপ্রীত বুমরাহ টিম ইন্ডিয়াকে টেনশনে ফেলেছেন। তিনি বিসিসিআই-কে জানিয়েছেন যে, তাঁর শরীর আর বেশি ওয়ার্কলোড নিতে পারছে না। ইংল্যান্ড সফরে তিনি ৩টির বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারবেন না। এটি বোর্ডের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। তাঁর অনুপস্থিতির কারণে টিম ইন্ডিয়া সমস্যায় পড়তে পারে। তাই বিসিসিআই বুমরাহের বিকল্প এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে।
টিম ইন্ডিয়ার জন্য খারাপ খবর
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য বিসিসিআই শীঘ্রই টিম ইন্ডিয়ার দল নির্বাচন করতে চলেছে। কিন্তু তার আগেই ভারতীয় ক্রিকেট দল বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। বোর্ডকে নতুন অধিনায়ক নির্বাচন করতে হবে। এর পাশাপাশি রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির বদলিও খোঁজা হচ্ছে। এদিকে, জসপ্রীত বুমরাহের সব ম্যাচ না খেলার সিদ্ধান্তও, দলকে সমস্যায় ফেলেছে। বোর্ডকে বুমরাহ জানিয়েছেন যে, তিনি পেস আক্রমণের নেতৃত্ব অব্যাহত রাখবেন, কিন্তু কিছু ম্যাচ খেলতে পারবেন না।
নির্বাচক সভায় বুমরাহ বলেছিলেন যে, তাঁর শরীর বর্তমানে তিনটি টেস্ট ম্যাচের বেশি চাপ নিতে পারছে না। প্রসঙ্গত, বুমরাহ অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলেছিলেন। তিনি সেখানে অনেক লম্বা স্পেলও করেছিলেন। কিন্তু পঞ্চম টেস্টের সময় তিনি পিঠের চোট পান এবং বেশ কিছু দিনের জন্য তাঁকে মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয়। তার অনুপস্থিতিতে, ভারতীয় বোলিং খুবই দুর্বল দেখাচ্ছিল এবং টিম ইন্ডিয়া ম্যাচটি হেরে যায়। ইংল্যান্ড সফরেও পাঁচটি টেস্ট খেলা হবে। তাই অনেক দিন ধরে এই সিরিজ চলবে। অতএব, তাঁর চোট নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং তাঁকে কিছু ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে।
পিঠে অস্ত্রোপচার করা হয়
অস্ট্রেলিয়া সফরে সিডনি টেস্টের সময় তাঁর পিঠে ফোলাভাব দেখা গিয়েছিল। এই কারণে তাঁকে কয়েক মাস মাঠ থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল। তিনি ২০২৫ সালের আইপিএলের কিছু ম্যাচও মিস করেন। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালেও বুমরাহের পিঠে চোট লেগেছিল, তার পর তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। এই আঘাতের কারণে তিনি প্রায় এক বছর ক্রিকেট খেলতে পারেননি। আবার একই অংশে আঘাত উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এই কারণেই বিসিসিআই তাঁর ব্যাপারে সতর্ক এবং তাঁকে খুব বেশি দায়িত্ব দিতে চায় না। যদি তিনি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলে, তাহলে ফের পিঠের চোট ফিরে আসতে পারে, যা তাঁর ক্যারিয়ারের জন্য মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে।