১২ বছর পর চিপকের রং ফের বেগুনি হল। ২০১২ সালে এই মাঠেই প্রথম বার আইপিএল জয়ের স্বাদ পেয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেবার চেন্নাই সুপার কিংসকে হারিয়ে তারা আইপিএল জিতেছিল। ২০২৪ সালে সেই চিপকেই তৃতীয় বার আইপিএল জয়ের স্বাদ পেল কিং খানের টিম। এবার প্রতিপক্ষ ছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রসঙ্গত, মাঝে ২০১৪ সালে বেঙ্গালুরু চিন্নাস্বামীতে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছিল কলকাতার দল। তৃতীয় খেতাব জিততে অবশ্য লেগে গেল দশ বছর। রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে খেতাব জেতে কেকেআর। আর তার পরেই আবেগে ভাসেন দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার।
প্রথমে বল করার সুযোগ পেয়েই ভাগ্য খুলে যায়
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের পর বলেছেন যে, তারা ভাগ্যবান যে, প্রথমে বল করার সুযোগটাই কার্যকরী হয়ে যায়। ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে আট উইকেটের জয়ের পর শ্রেয়স বলেছেন, ‘এই আবেগ প্রকাশ করা কঠিন। আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে যেমন আশা করেছিলাম, ওরা তেমনটাই পারফর্ম করেছে। আমরা ভাগ্যবান ছিলাম যে, এদিন প্রথমে বোলিং করার সুযোগ পেয়ে যাই।’
আরও পড়ুন: বেগুনি টুপির মালিক হওয়ার পাশাপাশি, ইতিহাসও লিখে ফেলেছেন হর্ষাল, এই তালিকায় প্রথম দশে KKR-এর তিন
টিম গেমের জয়গান
এই সাফল্যের জন্য শ্রেয়স আইয়ার টিম গেমের কথাই বলেছেন। তাঁর দাবি, ‘একেবারে ব্যাপক জয়। আমরা পুরো মরশুম জুড়ে অজেয়দের মতো খেলেছি। এই মুহূর্তে অনেক কিছুই উপভোগ করার মতো রয়েছে। আমরা দল এবং প্রতিটি প্লেয়ারের কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সই আশা করেছিলাম।’ তিনি যোগ করেছেন, ‘প্লেয়াররা সঠিক সময়ে একত্রে লড়াই করেছে। এবং এই অনুভূতি প্রকাশ করা কঠিন। এটি খুবই আনন্দের বিষয় যে, সকলে ত্রুটিহীন পারফরম্যান্স করেছে। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করতে আমি পারব না।’
এখানেই না থেমে শ্রেয়স আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদেরকে উজ্জীবিত করেছি এই বলে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, একে অপরকে সমর্থন করব। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার জন্য উন্মুখ ছিলাম সব সময়ে।’
আরও পড়ুন: গম্ভীরের মগজাস্ত্র, প্লে-অফে বিধ্বংসী স্টার্ক, টিম গেম- যে ৫ কারণে ১০ বছর পর ফের খেতাব জয় KKR-এর
স্টার্ক, রাসেলে মুগ্ধ
কোয়ালিফায়ার ওয়ান এবং ফাইনালে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন মিচেল স্টার্ক। লিগ পর্বে তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। সকলের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন তারকা অজি পেসার। প্লে-অফে স্টার্ক বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন তাঁর দাম ২৪.৭৫ কোটি। স্টার্কের প্রশংসা করে কেকেআর অধিনায়ক বলেছেন, ‘বড় মঞ্চে বড় প্লেয়াররা এই ভাবেই ঘুরে দাঁড়ায়! এই ম্যাচটি খুবই চাপের ছিল। এবং ও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছে। ও কখনই নিজের কাজের নীতিশাস্ত্রে কোনও আত্মতুষ্টি দেখায়নি। বরং সঠিক লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গিয়েছেন। তরুণদের ওর থেকে শেখা উচিত।’