ইংল্যান্ডের টেস্ট দল তাদের অতি আক্রমণাত্মক পদ্ধতির মাধ্যমে ক্রিকেট বিশ্বের ধারণকেই যেন বদলে দিয়েছে। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম কোচ এবং বেন স্টোকস ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই নতুন স্টাইল টেস্ট খেলছে ব্রিটিশরা, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাজবল’। এই জুটি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ড এখনও একটি সিরিজও হারেনি। ম্যাচ চলাকালীন ইংল্যান্ড যে হারে রান করে, তা কখনও কখনও একটি ওডিআই-এর থেকেও বেশি স্কোরিং রেটস হয়।তবে বাজবল কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল, যখন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড অ্যাশেজ জিততে ব্যর্থ হয়েছিল। এবার সদ্য শুরু হতে চলা ভারতের বিরুদ্ধে টেস্টে ইংল্যান্ড কী করে, সেটাই দেখার। রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা এবং অক্ষর প্যাটেল নিয়ে গঠিত ভারতের স্পিন আক্রমণের শক্তির বিরুদ্ধে তারা দাঁড়াতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে। ইংল্যান্ড হল শেষ দল, এবং এই শতাব্দীতে মাত্র দু'টি দলের মধ্যে একটি, যারা ভারতের ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ভারতকেই পরাজিত করতে পেরেছে।প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং ব্যাটিং গ্রেট সুনীল গাভাসকর অবশ্য মনে করেন যে, ভারতে বাজবল কিন্তু ইংল্যান্ডের হয়ে কাজ করতে পারে। স্টার স্পোর্টসগুলিতে গাভাসকর বলেছিলেন, ‘এটা (বাজবল) ভারতে কাজ করতে পারে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, গত কয়েক বছরে মাঠের দৈর্ঘ্য ছোট হয়ে গিয়েছে। ব্যাটগুলি আরও ভালো হয়ে উঠেছে এবং বলগুলিও সীমানার বাইরে চলে যাচ্ছে।’গাভাসকর দাবি করেছেন যে, স্পিনারদের বিরুদ্ধে প্রথম দিকে বড় স্কোর করার জন্য ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা কিন্তু তৎপর থাকবেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই স্পিনারদের আক্রমণ করার চেষ্টা করবে। হয়তো এতে তারা আউট হতে পারে, কিন্তু একটা আক্রমণাত্মক মানসিকতা তারা তৈরি করে দিয়ে যাবে। আমাদের স্পিনাররা অনেক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আপনার মানসিকতা কী, সেখানে আপনি উইকেট না নিলে ঠিক আছে, তবে আপনি সতর্ক থাকবেন যে ছক্কা বা বাউন্ডারি যাতে না হয়। আপনার ফ্লাইট এবং লাইন ... আপনি এটি পরিবর্তন করতে থাকেন।’সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, ‘এমন কী টেস্ট ক্রিকেটেও, আপনার স্পেলের শুরুতে যদি আপনাকে আক্রমণ করা হয়, আপনি যদি দু'টি ছক্কা মারেন, তাহলে আমাদের স্পিনাররা ফ্লাইট কমিয়ে লাইন এবং লেন্থ পরিবর্তন করার চেষ্টা করতে পারে।’গাভাসকর বলেছেন যে, এই কারণেই তিনি মনে করেন ২৫ জানুয়ারি থেকে হায়দরাবাদে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টটি গুরুত্বপূর্ণ হবে। তাঁর দাবি, ‘আমাদের দেখতে হবে হায়দরাবাদের পিচ কেমন হয়। হায়দরাবাদে, পিচ প্রায়ই ব্যাটারদের জন্য হয়ে থাকে। সেখানে কিছুটা গতি এবং বাউন্স আছে। আমাদের স্পিনারদের বিরুদ্ধে বাজবলের জন্য এটি একটি খুব আকর্ষণীয় পরীক্ষা হবে।’