চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে পাকিস্তান ছিটকে যেতেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছেন মহম্মদ রিজওয়ান। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে। তাঁর স্ট্র্যাটেজি বা কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আর তারইমধ্যে রিজওয়ানকে নিয়ে করা পাকিস্তানের ক্রিকেটার ইমাম-উল-হকের একটি পুরনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেল। আর সেই ভিডিয়োয় যখন ইমামকে পাকিস্তান দলের মধ্যে থেকে ‘লিডার’ বেছে নিতে বলা হয়, তখন রীতিমতো নাকানি-চোবানি খান। তারপর পাকিস্তানি অধিনায়ক রিজওয়ানকে ‘লিডার’ হিসেবে বেছে নেন। যে কারণে তিনি সেই নামটা বলেছেন, সেটার পিছনে ক্রিকেটীয় কোনও বিষয় না থাকায় বেশ চমকে গিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, এই কারণেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এরকম শোচনীয় অবস্থা হয়েছে পাকিস্তানের। দলের যিনি অধিনায়ক, তাঁকে ‘লিডার’ বলতে গিয়ে যে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে, তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে দলে তাঁর কতটা গ্রহণযোগ্যতা।
পাকিস্তান দলের ‘লিডার’ কে? মাথা চুলকাতে থাকেন ইমাম
আর যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে, সেটি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিক উইকের আল্ট্রাএড পডকাস্টের। ওই পডকাস্টের একটি অংশে সঞ্চালক রোহা নাদিম ইমামকে প্রশ্ন করেন যে পাকিস্তানি দলের ‘লিডার’ কে? আর সেই প্রশ্ন শুনে মাথা চুলকাতে থাকেন পাকিস্তানি ওপেনার। যিনি আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের বিরুদ্ধে ওপেন করেন।
রীতিমতো মাথা চুলকাতে-চুলকাতে ওই প্রশ্নের জবাবে ইমাম বলেন, ‘দ্য লিডার? হুমমম! লিডার, লিডার। লিডার কে, সেটা নিয়ে তো কারও নাম আমার মাথায় আসছে না। সকলে একে অপরের সঙ্গে লড়ছে (হাসি)।’ আর ইমামের হাল দেখে হেসে হেসে খুন হয়ে যান সঞ্চালক।
নমাজ পড়ার জায়গা খোঁজে, ‘লিডার’ হওয়ার ‘গুণ’ রিজওয়ানের
তারইমধ্যে ইমাম বলতে থাকেন, ‘লিডার বলতে আমি আপাতত রিজির (মহম্মদ রিজওয়ান) কথা বলব। কারণ নমাজের সময় ও সবাইকে একত্রিত করে। এটা ওর খুব ভালো স্বভাব। যে কোনও হোটেলেই আমরা যাই না কেন, সবার আগে (নমাজের জন্য) জায়গা খোঁজা, ওখানে সাদা চাদর বিছিয়ে দেওয়া, সেখানে মুসলিম নয় এমন কর্মীদের আসতে না দেওয়া, সবার আগে হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা, (নমাজের) সময় পাঠানো, এসব রিজওয়ান করে থাকে। তাই বলব যে ওর এই গুণটা ভালো।’