পুণেতে ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড টেস্টের প্রথম ইনিংসের হিরো ওয়াশিংটন সুন্দর। বৃহস্পতিবার বল হাতে একাই ৭টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সুন্দরের দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে মাত্র ২৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। যদিও কুলদীপ যাদবকে বসিয়ে কেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে দলে যুক্ত করা হয়েছে তা নিয়ে গম্ভীরকে সমালোচনা শুনতে হয় দিনের শুরুতে। তবে দিনের শেষে প্রমাণ হয়ে যায় হেড কোচের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। গৌতম গম্ভীরের সিদ্ধাতে অবাক হননি প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এবং কোচ শ্রীধরণ শ্রীরাম। তিনি লখনউ সুপার জায়ান্টে আগে গম্ভীরের সঙ্গে কাজ করেছেন। শ্রীধরণ জানান, বাকিদের মতো ওয়াশিংটন সুন্দরকে খেলানোর সিদ্ধান্তে তিনি অবাক হননি, সুন্দরের পারফরম্যান্সও তাঁকে অবাক করেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এক সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় শ্রীধরণ বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন, গম্ভীর দায়িত্বে আসার মুহূর্ত থেকে, ওয়াশি দলের নিয়মিত সদস্য ছিল। কারণ, ও সর্বদা বিশ্বাস করত যে তাকে কম ব্যবহার করা হচ্ছে। গৌতম সর্বদা বিশ্বাস করত ওয়াশিংটনের মধ্যে বহুমুখী প্রতিভা রয়েছে এবং একজন ব্যাটসম্যান ও বোলার হিসেবে তার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। গৌতম বহু দক্ষতা সম্পন্ন ক্রিকেটারদের পছন্দ করে এবং ওয়াশিংটন সেরকমই একজন ক্রিকেটার। আর গৌতম জানে কিভাবে তাকে ব্যবহার করতে হয়। ভারতীয় পিচে, সে একজন রিস্ট-স্পিনারের আগে একজন ফিঙ্গার স্পিনার চেয়েছিল এবং ওয়াশিংটন দেখিয়েছে কেন এটি একটি বুদ্ধিমান পদক্ষেপ।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কোচ আরও জানান, আইপিএলের পরে ওয়াশিংটন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি তাঁর লাল বলের দক্ষতাকে আরও উন্নত করতে চেয়েছিলেন এবং সেই সময়েও তাঁর পরামর্শ একই ছিল, যা তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে এই অলরাউন্ডারের সঙ্গে কাজ করার সময় দিয়েছিলেন। পুণেতে ওয়াশিংটন পারফরম্যান্সের সময় তাঁর পরামর্শ অনুসরণ করায় খুশি প্রকাশ করেছেন।
শ্রীরাম বলেন, ‘আইপিএল-এর পরে, আমার মনে আছে সে বল ভালো করতে আর কী করতে হবে জিজ্ঞাসা করেছিল’। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি তাকে শুধু ওভার-স্পিনে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। আমরা যখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে একসঙ্গে কাজ করেছি, তখন আমি তাকে এটাই বলেছিলাম এবং পরেও একই বার্তা ছিল। উচ্চতা এবং বাউন্স সবসময় তার সবচেয়ে বড় শক্তি। যখন আপনি ভালো ওভার-স্পিন করবেন, তখন আপনি পিচ থেকে বেশি সাহায্য লাভ করতে পারবেন। ও পুণেতে ঠিক এটাই করেছিল।’