পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার জেরে শুক্রবারই ভারতে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান-সহ বহু পাক ক্রিকেটারদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। তবে তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ইনস্টাগ্রাম স্টোরির স্ক্রিনশট নিয়ে কার্যত হইচই পড়ে যায়। বাবর আজমের অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি একটি বার্তা পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক সরাসরি আঙুল তুলেছেন পাক সেনার দিকে।
বাবর আজম নাকি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী হামলার জন্য সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন পাকিস্তান আর্মিকে এবং তিনি নাকি এও জানিয়েছেন যে, পাক সেনা সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়।
ভাইরাল হওয়া স্ত্রিনশটটিতে বাবরের জবানিতে লেখা রয়েছে যে, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি বরাবর ভারতে খেলতে পছন্দ করি এবং ভারতকে আমার দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবেই বিবেচনা করি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, ভারতে আমার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
সেই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটিতে আরও যা কিছু লেখা রয়েছে, সেগুলিকে এককথায় বিস্ফোরক বলা যায়। লেখা হয়েছে যে, ‘আমি একটা বিষয় একেবারে স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, ক্রিকেটাররা পহেলগাঁওয়ের হামলায় জড়িত নন। যা কিছু ঘটছে, পাক সেনা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ঘৃণ্য রাজনীতির জন্য। আমি নাম নিতে চাই না, তবে সবাই জানে পাকিস্তানের প্রকৃত ক্ষমতা কার হাতে রয়েছে এবং কে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসবাদীদের লালন করে এবং মদত দেয়।’
ভাইলার স্ক্রিনশটে বাবরের জবানিতে আরও লেখা হয়, ‘পাকিস্তানের সেনাকে বলব, তোমাদের কাজের জন্য পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করো।’
স্বাভাবিকভাবেই এমন স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় আলোড়ন তৈরি হয়। ভারতে বাবর আজমের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ব্লক করা রয়েছে, তাই যাচাই করার উপায় নেই। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রমাণ-সহ তুলে ধরেন যে, বাবর এমন কোনও পোস্ট করেননি। সুতরাং, পুরোটাই ভুয়ো এবং এডিট করা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন পোস্টের নীচে বিধিসম্মত সতর্কীকরণও দেখা যাচ্ছে যে, এই পোস্ট যথার্থ নয়।
উল্লেখ্য, ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলা নিয়ে কড়া অবস্থানের ইঙ্গিত দেওয়ায় ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেট খেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই বললেই চলে। আগামী সেপ্টেম্বরে নিরপেক্ষ কেন্দ্রে এশিয়া কাপ আয়োজিত হওয়ার কথা। কোথায় অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্ট, তা এখনও স্থির হয়নি। তবে এখন ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট খেলার উপযুক্ত পরিস্থিতি নয় বলেই টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়ে যেতে পারে।