বিশ্বকাপ থেকেই শুরু হয়েছে নতুন রীতি। বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচের পরেই দলের সেরা ফিল্ডারকে পুরস্কৃত করতে দেখা যায় ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। বিশ্বকাপের পরেও সেই ধারা বজায় রাখে টিম ইন্ডিয়া। এবার প্রতি সিরিজের শেষে দলের সেরা ফিল্ডারকে স্বীকৃতি জানানো হয় ইমপ্যাক্ট ফিল্ডার মেডেল দিয়ে।
বৃহস্পতিবার পার্লের বোল্যান্ড পার্কে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেয় ভারত। সেই সুবাদে তারা ৩ ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। নিয়ম মতো বোল্যান্ড পার্কের ড্রেসিংরুমেই সিরিজের সেরা ফিল্ডার বেছে নেন টিম ইন্ডিয়ার ফিল্ডিং কোচ। এক্ষেত্রেও নেতা হিসেবে লোকেশ রাহুলের উদারতা ধরা পড়ে।
রাহুল দ্রাবিড় ও তাঁর সাপোর্ট স্টাফদের নজরদারিতে টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি সারছেন রোহিত শর্মারা। তাই তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ভারতীয় দলের হেড কোচের ভূমিকা পালন করেন সিতাংশু কোটাক। ফিল্ডিং কোচ ছিলেন অজয় রাতরা। ভারতের ফিল্ডিং কোচই হদিশ দেন, কীভাবে নবাগত তরুণকে উদ্দীপ্ত করতে লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান ক্যাপ্টেন রাহুল।
সিরিজের ৩টি ওয়ান ডে ম্য়াচে ভারতীয় ফিল্ডাররা মোট ১২টি ক্যাচ ধরেন। লোকেশ রাহুল একাই ধরেন ৬টি ক্যাচ। ২টি ক্যাচ ধরেন সঞ্জু স্যামসন। এছাড়া ১টি করে ক্যাচ ধরেছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়, রিঙ্কু সিং, মুকেশ কুমার ও সাই সুদর্শন। অর্থাৎ, ক্যাপ্টেন রাহুল একাই দলের হয়ে অর্ধেক ক্যাচ ধরেন।
আরও পড়ুন:- ২০ লক্ষ থেকে একলাফে ৫০ লাখ, একটি ODI খেলেই রজত পতিদার বাড়িয়ে নিলেন নিজের IPL বেতন
ভারতের ফিল্ডিং কোচ স্পষ্ট জানান যে, তিনি ফিল্ডার হিসেবে কিপারদের বাড়তি গুরুত্ব দিতে পছন্দ করেন। তাই লোকেশ রাহুল ৬টি ক্যাচ ধরায় তাঁরই এগিয়ে থাকার কথা ছিল সেরা ফিল্ডারের পুরস্কারের দৌড়ে। তবে বোল্যান্ড পার্কে আবেশ খানের বলে এনরিখ ক্লাসেনের যে ক্যাচটি ধরেন সাই সুদর্শন, তাকে স্বীকৃতি না দিয়ে পারা যায় না।
শেষমেশ ৬ বনাম একের লড়াইয়ে জয় হয় সুদর্শনের। অর্থাৎ, ৬টি ক্যাচ ধরা লোকেশকে টপকে সিরিজের সেরা ফিল্ডারের মেডেল গলায় ঝোলান মোটে ১টি ক্যাচ ধরা সাই সুদর্শন। অজয় রাতরা এটাও জানাতে ভোলেননি যে, লোকেশ রাহুলই তাঁকে বলেন যে, তাঁর নেওয়া সব ক্যাচগুলিই তুলনায় সহজ ছিল। তাই সুদর্শনের এই পুরস্কার পাওয়া উচিত।