বোলারদের দাপটে রঞ্জি ট্রফিতে তিন পয়েন্ট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলল বাংলা। প্রথম ইনিংসে শক্তিশালী কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ৮০ রানের লিড নিল বাংলা দল। ইশান পোড়েল, সুরজ সিন্ধ জয়সওয়ালরা বাংলাকে খেলায় ফেরালেন। খুব বড় রানের পুঁজি ছিল না বাংলার, তবুও বোলাররাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে বাংলার রঞ্জি নকআউটে যাওয়ার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন।
আরও পড়ুন-‘সিরিজ হেরেছে বলেই ওরা বাজে দল হয়ে যায়নি’! ভারতের কামব্যাক নিয়ে আশাবাদী টম লাথাম…
রঞ্জিতে প্রথম ইনিংসে লিড বাংলার-
রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে প্রথম ইনিংসে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে বাংলা দলের লিড নেওয়ার পিছনে বোলারদের অবদান অনস্বীকার্য। মোটামুটি লড়াইয়ের স্কোরে দলকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। এরপর বাংলার হয়ে তিন পয়েন্ট আনার কাজটাই করেন ইশান পোড়েল, সুরজ সিন্ধ জয়সওয়ালরা। কর্ণটাকের প্রথম ইনিংস শেষ ২২১ রানে।
আরও পড়ুন-অবশেষে যুগের পতন! প্রায় ৫০ দেশের বিরুদ্ধে খেলা মহম্মদ নবির অবসর ঘোষণা! কবে শেষ ওডিআই?
৮০ রানের লিড নিল বাংলা দল-
আভাসটা পাওয়া গেছিল দ্বিতীয় দিনেই। যখন বাংলা দল ৩০০র গণ্ডি টপকেছিল, আর কর্ণাটকের টপ অর্ডার বিপাকে পড়েছিল। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে কম রানেই ফিরিয়েছিলেন সুরজ সিন্ধ জয়সওয়াল। এরপর মণিশ পাণ্ডেকে রানের খাতাই খুলতে দেননি নিজের অভিষেক ম্যাচে খেলতে নামা ঋষভ বিবেক। তখনই বোঝা গেছিল বাংলা এই ম্যাচে জাঁকিয়ে বসেছে। যদিও শ্রেয়স গোপালের ২৮, অভিমন মনোহরের ৫৫ এবং বিদ্যাঘর পাতিলের ৩৩ রানের ইনিংস কিছুটা রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিল বাংলার কোচের।
আরও পড়ুন-‘যখন হওয়ার তখনই হবে, এখন বলা যাবে না’! টেস্ট খেলা নিয়ে মন্তব্য সূর্যর…
বাংলার লোয়ার অর্ডার পার্থক্য গড়ে দিল-
প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে বাংলার লোয়ার অর্ডারে শাহবাজ আহমেদের ৫৯ রানের পাশাপাশি আমির গানির ১৮ এবং সুরজ সিন্ধ জয়সওয়ালের ১৬ রানের ইনিংসটাও পার্থক্য গড়ে দিল দুই দলের মধ্যে। কারণ ২২১ রানে কর্ণাটক দল অলআউট হওয়ায় ৮০ রানের লিড পেল বাংলা দল। প্রথম ইনিংসে যখন ঋদ্ধিমান সাহাও তেমন রান না পেয়ে ফিরেছিলেন, তখন শেষদিকে দলকে বেশ কয়েকটা রানই এনে দেন টেলেন্ডাররা।
আরও পড়ুন-ক্রিকেট মাঠে অসভ্যতা! বরদাস্ত করল না উইন্ডিজ বোর্ড! নির্বাসিত আলজারি জোসেফ…
ইশানের চার, সুরজের তিন উইকেট-
ইশান পোড়েল বল হাতে তুলে নেন চার উইকেট। ইশান আর সুরজই তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে কর্ণটাকের লোয়ার মিডল অর্ডার আর টেলেন্ডারদের সাজঘরে ফিরিয়ে দেন। শেষের বাকি পাঁচটা উইকেট ভাগাভাগি করে নেন সুরজ সিন্ধ জয়সওয়াল এবং ইশান পোড়েল। ঋষভ বিবেক নিজের অভিষেক ম্যাচে আগেই জোড়া উইকেট নিয়েছিলেন।
ঝুঁকি নিতে চাইবে না বাংলা দল-
তিন পয়েন্ট বাংলার প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে অ্যাওয়ে ম্যাচে। আর কর্ণাটক দল বরাবরাই বাংলার শক্ত গাঁট। সেকথা মাথায় রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে সম্ভবত আর ঝুঁকি নিতে চাইবে না বাংলা দল। কারণ সরাসরি জয়ের জন্য ঝাঁপাতে গিয়ে পয়েন্ট হাতছাড়া হলে আরও ক্ষতি। সেক্ষেত্রে তিন পয়েন্টও অনেক।