গরম একটু বাড়লেই, বাংলার বুকে বহু সময়ই কালবৈশাখী দাপট দেখায়। ফলে ঝড় জলের দিনে নানান জায়গায় জল জমার সম্ভাবনা তৈরি হয়। আর তা হতে থাকলেই, জমা জলে মশারা আস্তানা বাঁধে, সম্ভাবনা থাকে ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার। এই সমস্যা থেকে স্কুলগুলিকে রক্ষা করতে বড় নির্দেশ এল রাজ্যের শিক্ষা দফতরের তরফে। স্কুলে স্কুেল ডেঙ্গি রুখতে রাজ্য শিক্ষা দফতর সদ্য স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে।
নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, স্কুলে জল জমতে দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, মার্চ-এপ্রিল মাস নাগাদ বাংলার বুকে নানান জায়গায় কালবৈশাখীর দাপট দেখা যায়। সেই ঝড় জলের দিনে কোথাও যেন স্কুলের অন্দরে জল না জমে থাকে, তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। স্কুলের সমস্ত নিকাশী ঠিক রয়েছে কিনা তা দেখভালের কথা বলা হয়েছে। স্কুলের মাঠে ঝোপজঙ্গল, স্কুলের অপ্রয়োজনীয় ঘরে জমে থাকা আবর্জনা সাফাইয়েরও কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও স্কুল চত্বরে কোনও নির্মাণকাজের পরে জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ সাফ করতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় স্কুলে পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিয়েও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুল যাতে পরিচ্ছন্ন থাকে সেদিকে নিয়মিত নজর রাখতে হবে। সাফাইকর্মীদের দিয়ে স্কুল চত্বরে চৌবাচ্চা বা জলের ট্যাঙ্ক থাকলে তা পরিষ্কার করাতে হবে। এদিকে, এই বিষয়টি নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা অনিমেষ হালদার বলেন, বেশির ভাগ স্কুলেই স্থায়ী সাফাইকর্মী নেই। সাফাইকর্মী নিয়োগ করার মতো সামর্থ্যও অনেক স্কুলের নেই। স্কুলগুলিতে এই সাফাইকর্মী নিয়োগের বিষটি শিক্ষা দফতর দেখলে ভালো, বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে, নির্দেশিকা বলছে, স্কুলগুলিতে ডেঙ্গির বিষয়ে সচেতন করতে হবে পড়ুয়াদেরও। স্কুলে যথাসম্ভব বেশি সংখ্যক পড়ুয়াদের নিয়ে ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচার করতে হবে বলেও উল্লিখ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণভাবে বলা হয়েছে, কোনও স্কুলের পড়ুয়ার যদি ডেঙ্গির উপসর্গ দেখা যায়, তা হলে তা স্কুলের শিক্ষকদের জানাতে হবে। এই উপসর্গ হিসাবে বেশি জ্বর, মাথা ব্যথা, গাঁটে ব্যথা, র্যাশ বেরোনোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও স্কুলগুলিতে ট্যাঙ্কের ঢাকনা দেওয়া রয়েছে কি না, তা নিয়ে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।