৫০ হাজার চিঠি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লি রওনা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। 'বঞ্চনার' অভিযোগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন ১০০ দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা।সেই চিঠি বাক্স বন্দি হয়ে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস ক্যামাক স্ট্রিটে। তারই ছবি দলের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে শেয়ার করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ সেই পোস্টকে নিজের এক্স হ্যান্ডলে ট্যাগ করে লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ, আমাদের অধিকার দাবি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গণতন্ত্রে জনগণের ক্ষমতাই সর্বোচ্চ।'কেন্দ্রের 'বঞ্চনা'র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ২ ও ৩ দিল্লি চলো কর্মসুচি নিয়েছে তৃণমূল। সেখানে প্রথম গান্ধীজয়ন্তীতে রাজঘাটে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার পর অবস্থানে বসবে দল। এই কর্মসূচি উপলক্ষে তৃণমূলের নেতারা ১ তারিখই দিল্লি পৌঁছে যাবেন।এই কর্মসূচি রামলীলা ময়দানে করার পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল। একাধিকবার পুলিশের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ প্রতিবারই সেই আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে রাজঘাটের কাছে অবস্থানে বসবে ঘাসফুল শিবির। একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার কাজ, সব মিলিয়ে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সেই বকেয়া চাইতে দিল্লির এই কর্মসূচি।পায়ে চোট পেয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতে রয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কর্মসূচিতে তারও থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসতে পারবেন না বলেই সূত্রে খবর।৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গেও দেখা করারও কথা রয়েছে। কিন্তু দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য ওদিন তিনি মন্ত্রকে নাও থাকতে পারেন। তবে চিঠি নিয়ে তাঁর দরবারে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই কর্মসূচি এখন পর্যন্ত তাই স্থিরই আছে।এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য এ প্রসঙ্গে নিশানা করেছেন ইন্ডিয়া জোটেকে। তিনি বলেন,'আমরাও চাই গরিবের টাকা দেওয়া হোক। কিন্তু এখন জাতীয় রাজনীতিতে জোট হয়ে গিয়েছে। তাই একশো দিনের কাজের বকেয়া চাইতে সেলিম-মমতা সবাই মিলে গিরিরাজ সিংয়ের কাছে যান।'