সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এবার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করল ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। এক ব্যক্তির তোলা অভিযোগের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী সাধন পান্ডে। এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার পাল্টা অভিযোগ করেছেন রুদ্রনীল।দু’সপ্তাহ হল বিজেপি–তে গিয়েছেন রুদ্রনীল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের কাছে তদন্তের সুপারিশ করল ক্রেতা সুরক্ষা দফতর। রাইট টু পাবলিক সার্ভিসের কমিশনার পদ নিয়ে এক ব্যক্তির চিঠিকে হাতিয়ার করে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। ২০১৫ সালে রাইট টু পাবলিক সার্ভিসের কমিশনার করা হয় রুদ্রনীল ঘোষকে। এই পদের জন্য বেতন হিসেবে প্রতি মাসে আড়াই লক্ষ টাকা পেতেন তিনি। ২০২০–র ডিসেম্বর মাসে এই পদের মেয়াদ শেষ হয়। তবে মেয়াদ শেষের আগেই তথ্য জানার অধিকারে চিঠি দেন এক ব্যক্তি।ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, চিঠিতে ওই ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন, রুদ্রনীল ঘোষ যে পদে রয়েছেন তাঁর কাজ কী? দফতরে অনিয়মিত উপস্থিতি সত্ত্বেও রুদ্রনীল কেন নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন? চিঠিতে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, এভাবে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে। সেই চিঠি বেশ কিছুদিন আগে আসে ক্রেতাসুরক্ষা দফতরে। এর পরই বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য নবান্নে সুপারিশ করেছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পান্ডে।এ ব্যাপারে বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘আমি এমন অনেক অপমানের জন্য অপেক্ষা করছি। তার কারণ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মানেই কোনও ব্যক্তি দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে, বলা হচ্ছে সে কাজ করেনি, ফাঁকি দিয়েছে। এটা রুটিনের মধ্যে পড়ে গিয়েছে।’ রুদ্রনীলের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যদি কেউ কিছু ভুল করে থাকে তা হলে তিনি যখন দলে ছিলেন তখন কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? হঠাৎ দল থেকে কেউ বেরিয়ে গেলেই কারও বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত করা হচ্ছে। এতেই প্রমাণ হয়, ভাল লোকগুলি দল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে ভয় পাচ্ছে শাসকদল।’