মাধ্যমিকে উত্তরপত্রে বানান ভুল থাকলে শিক্ষকদের নম্বর না কাটার নির্দেশ দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। যদিও পর্যদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত নন বহু শিক্ষক।পরীক্ষকদের অনেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই রকম নির্দেশের জেরে পড়ুয়াদের আখেরে ক্ষতিই হবে। তাঁদের দাবি, উত্তরে বানান ভুল থাকলে নম্বর যদি না কাটা যায় তা হলে বানান সম্পর্কে পড়ুয়াদের সতর্কতা অচিরেই লোপ পাবে।নতুন নির্দেশিকা কী উদ্দেশে জারি করা হল, তা নিয়ে মন্তব্য করেননি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর মতে, ‘ছাত্রজীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বিবেচনা করে নম্বর দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু লিখিত নির্দেশে তার উল্লেখ থাকলে, মারাত্মক ব্যাপার।’তবে শুধুমাত্র বানানই নয়, পর্ষদের সাম্প্রতিক নিয়ম-নীতি নিয়ে তৈরি হয়েছে বেশ কিছু বিতর্ক। মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষকদের কাছে পাঠানো উত্তরপত্রের সংখ্যায় বদল না কমানো হয়েছে খাতা দেখার সময়। আগে পরীক্ষকরা তিন দফায় উত্তরপত্র জমা দিতে পারতেন এবং তার জন্য তিন দিন ‘অন ডিউটি’ ছুটি পেতেন। এবার সেই সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।নতুন শর্ত অনুযায়ী, পরীক্ষকদের প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নিজেদেরই খোপ বা কেজিং আঁকতে হবে। এই কেজিং টপ শিটের পিছনের ফাঁকা অংশে করতে হবে। প্রশ্নের প্রতিটি ভাগে কত নম্বর দেওয়া হয়েছে, তা উল্লেখ করতে হবে নির্দিষ্ট কেজিংয়ে।