প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হল শুভঙ্কর সরকারকে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তাঁকে বাংলায় কংগ্রেসের ক্যাপ্টেন হিসাবে মনোনীত করেছেন। ২০২৪ সালের ৩০ অগস্ট তিনি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক হিসাবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ও মিজোরাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির স্টেট ইন চার্জের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। এবার সেই শুভঙ্কর সরকারকেই বাংলায় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হল।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এর আগে কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। তিনি ছিলেন পুরোপুরি মমতা বিরোধী। তবে কি তুলনায় নরমপন্থী শুভঙ্করকে এনে মমতার মন ভেজানোর চেষ্টা? তবে শনিবার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদে শুভঙ্কর সরকারকে নিযুক্ত করেছেন। বলা হয়েছে এখন থেকেই তিনি এই দায়িত্বে নিযুক্ত হলেন।
অধীরের জায়গায় এলেন শুভঙ্কর সরকার। গোটা বাংলায় ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেস। সংগঠন একেবারে নড়বড়ে। সেখানে কংগ্রেসের হাল ধরতে এলেন শুভঙ্কর। ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোট। তার আগে শুভঙ্করের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ এই পদ। তিনি কতটা এই পদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কতটা সংগঠনকে মজবুত করতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভঙ্কর দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছাত্র অবস্থা থেকে তিনি রাজনীতি করছেন। এবার তিনিই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ পেলেন।
গোটা বাংলা জুড়ে কংগ্রেসের একেবারেই ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা। তৃণমূলের দাপটে কার্যত একেবারে ছন্নছাড়া অবস্থা। তবে সংগঠন টিকিয়ে রাখতে গেলে যে লড়াই, আন্দোলন চালিয়ে যেতে হয় তার পুরোটা পারেনি কংগ্রেস। সংগঠন নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার জেরেই এই পরিস্থিতি। তবে এতদিন ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াইটা করে গিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
তবে এবার আর তিনি লোকসভা ভোটে জিততে পারেননি। তবে তিনি এখনও কংগ্রেসে আছেন। বিগত দিনে তিনি ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এবার সেই দায়িত্বে এলেন শুভঙ্কর। তিনি কতটা কংগ্রেসকে শক্তিশালী করতে পারবেন সেটা বলবে সময়।
এদিকে অধীর চৌধুরীকে নিয়েও বাংলায় চর্চা কম নয়। বাংলায় কংগ্রেসের পতাকাটা এখনও যিনি শক্ত করে ধরে রয়েছেন বলে মনে করা হয় তিনি অবশ্য়ই অধীর চৌধুরী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। তবে এবার তিনি জিততে পারেননি। দলের অন্দরেও তিনি আর কতটা গুরুত্ব পাচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে সেই পরিস্থিতিতে ফের লোকসভা ভোটের পর থেকেই নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি অধীর চৌধুরী এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন? তবে অধীর নিজে কোনওদিন একথা স্বীকার করেননি।