বায়োমেট্রিক ছাড়া বিয়ের রেজিস্ট্রি আর হবে না। ম্যারেজ রেজিস্ট্রি বা রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে গেলেই পাত্র পাত্রীকে মেশিনে দিতে হবে আঙুলের ছাপ। গত ১ নভেম্বর থেকেই রাজ্য সরকার বিয়ের রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক করেছে। এছাড়াও সাক্ষী হিসেবে যারা থাকবেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করতে বায়োমেট্রিক ছাপ নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্যের আইন দফতর। স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট ও হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট উভয় ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানতে হবে। অনেক ক্ষেত্রেই জাল বিয়ে অথবা পরিচয় লুকিয়ে বিয়ের অভিযোগ ওঠে। মূলত সেই অভিযোগ প্রতিহত করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ম্যারেজ রেজিস্ট্রাররা। তবে বিবাহ রেজিস্ট্রি পোর্টালে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: 'পরস্পরবিরোধী মত', সমলিঙ্গে বিবাহের আইনি বৈধতার দাবিতে রিভিউ পিটিশন শীর্ষ আদালতে
কলকাতার এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, এটি রাজ্য সরকারের খুব ভাল পদক্ষেপ। কারণ এর ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি নির্ভুল হবে। নতুন ব্যবস্থা অনুযায়ী বাংলায় বিয়েতে এখন পাত্রপাত্রী এবং তিনজন সাক্ষীর আঙুলের ছাপ লাগছে। এর ফলে জাল বিয়ের অভিযোগ আর উঠবে না। অনিমেষ চক্রবর্তী নামে অন্য এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রারও সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিয়ের রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক্স বাধ্যতামূলক করা খুবই ভালো পদক্ষেপ।’ তবে সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিবাহ নিবন্ধক পোর্টাল নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছেন, দক্ষিণ কলকাতার এক ম্যারেজ রেজিস্ট্রার। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বিয়ে নিবন্ধ করার পোর্টাল ঠিকমতো কাজ করছে না। এই বিষয়ে রাজ্য সরকারকে পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিচার বিভাগীয় বিবাহের রেজিস্ট্রার জেনারেল দীপ্তরকা বসু জানিয়েছেন, তিনি এখনও পর্যন্ত পোর্টালের সমস্যা সম্পর্কিত অভিযোগ কারও কাছে পাননি। তবে তাঁর বক্তব্য, এই নিয়ম চালু করার আগে পোর্টালটি চালু করা উচিত ছিল সরকারের। অন্যদিকে, তিনি সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে পরিচয় গোপন করে বিয়ে বা জাল বিয়ের ঘটনা বন্ধ করা সম্ভব হবে। তবে এখনও পর্যন্ত পোর্টাল নিয়ে অভিযোগ না পাওয়ায় তিনি জানিয়েছেন আপাতত কোনও সমস্যা নেই।