শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্যান্য আধিকারিক ও পদস্থ পুলিশ কর্তারা।
Ad
সংরক্ষণ করা হবে ট্রাম। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)
ট্রাম লাইনের ফলে যান চলাচলের গতি কমছে। পাশাপাশি দুর্ঘটনাও বাড়ছে। এই যুক্তি দেখিয়েই কলকাতার ট্রাম রুট তুলে দেওয়ার পক্ষে মত জানিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ তাতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পুলিশ এভাবে ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করতে পারে না। পুলিশের সেই এক্তিয়ারই নেই। একইসঙ্গে ট্রামকে আধুনিক করে নতুন প্রজন্মের কাছে কীভাবে আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে বলেছিল হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ট্রাম চালানোর গঠনমূলক আলোচনা করার কথাও জানিয়েছিল। ট্রাম নিয়ে রাজ্য সরকার কী ভাবছে তা জানতে চেয়েছিল আদালত। সেই মতোই ট্রামকে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানালেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। একইসঙ্গে আরও একটি রুটে দ্রুত ট্রাম চালানোর কথা জানালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
শুক্রবার কলকাতা পুরসভায় ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেখানে ছিলেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী-সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্যান্য আধিকারিক ও পদস্থ পুলিশ কর্তারা। ট্রামের ভবিষ্যৎ কী হবে? কীভাবে সংরক্ষণ করা হবে বা কোন রুটে ট্রাম চালানো যাবে? সেই সংক্রান্ত বিষয়ে শুক্রবার বৈঠক হয়।
বৈঠকের শেষে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বর্তমানে যে সমস্ত রাস্তায় ট্রাম চলছে এবং যেগুলিতে ট্রাম চলছে না তার সমস্ত তালিকা তৈরি করা হবে। আদালতকে তা জানানো হবে।’ তবে ট্রাম লাইনের জন্য রাস্তা সংস্কার করা যাচ্ছে না বলেও তিনি জানান। একইসঙ্গে ধর্মতলা খিদিরপুর রুটে শীঘ্রই ট্রাম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাম হল কলকাতার ঐতিহ্য। তাকে সংরক্ষণ করা হবে। কিন্তু, ট্রাম চলে না এমন কিছু রুটে ট্রাম লাইন থাকার ফলে রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। এতে দুর্ঘটনা বাড়ছে। সেই সমস্ত ট্রাম লাইন তুলে দেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে আদালতকে জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।