মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পুরস্কারকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস এবং চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর কমেন্ডেবল সার্ভিস। চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস পাচ্ছেন একজন—পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ওয়েস্টার্ন জোনের এডিজি-আইজিপি শ্রী ত্রিপুরারি অথর্ব।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
কাল বাদে পরশু দেশের স্বাধীনতা দিবস। তাই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে রেড রোড। তার জেরে মধ্য কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন লালবাজার জোরকদমে ট্রাফিক ব্যবস্থা ঢেলে সাজাচ্ছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, স্বাধীনতা দিবসে রেড রোড জুড়ে থাকবে দু’হাজার পুলিশ কর্মী। ইতিমধ্যেই মধ্য কলকাতার সমস্ত রাস্তাতেই নাকা চেকিং শুরু হয়েছে। শহরের নানা গেস্ট হাউজে চেকিং করবে কলকাতা পুলিশ। রাস্তায় থাকছে কিউআরটি টিমও। আর চারটি স্যান্ড ব্যাগ মোর্চা এবং স্যান্ড ব্যাগ বাঙ্কার থাকছে ১১টি নিরাপত্তায়।
ঠিক কেমন থাকছে নিরাপত্তা? লালবাজার সূত্রে খবর, শহরের বুকে মোট ৬টি ওয়াচ টাওয়ার বসবে। তার সঙ্গে থাকবে ৬টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। রেড রোডকে ১৩টি জোনে ভাগ করা হবে। তার মধ্যে থাকবে ৮৬টি সেক্টর। এমনকী ১৭ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকবেন। আর ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্যও বিশাল ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। ট্রাফিক–সহ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ৪৬ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার, ৯০ জন ইনস্পেক্টর। আর স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন ১৪ তারিখ রাত ১০টা থেকে বন্ধ থাকবে ধর্মতলার ডাউন র্যাম্প।
রাস্তাঘাটের অবস্থা কেমন থাকবে? স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রেড রোড, কেপি রোড, হসপিটাল রোড, মেয়ো রোড, ডাফরিন রোড, আউট্রাম রোড–সহ মধ্য কলকাতার একাধিক পথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ফলে যানজটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাই বিকল্প পথ হিসাবে রেড রোডের অনুষ্ঠান চলাকালীন জওহরলাল নেহরু রোড এবং স্ট্র্যান্ডর রোড দিয়ে যাতায়াত করা যাবে। এবার ২০২৩ সালের স্বাধীনতা দিবসে রাজ্যের ছ’জন আইপিএস অফিসার পুরষ্কার পাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে। সুতরাং রেড রোডে একটা অনুষ্ঠান হবে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই অনুষ্ঠানে ভিভিআইপি ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন বলে নিরাপত্তা বেষ্টনী কড়াভাবে রাখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া পুরস্কারকে দু’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস এবং চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর কমেন্ডেবল সার্ভিস। চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল ফর আউটস্ট্যান্ডিং সার্ভিস পাচ্ছেন একজন—পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ওয়েস্টার্ন জোনের এডিজি এবং আইজিপি শ্রী ত্রিপুরারি অথর্ব। আর চিফ মিনিস্টারস পুলিশ মেডেল পাবেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন— আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রাজবংশী, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার এবং হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার আমনদীপ।