পাঁচ মাস জেলে থাকার পরে অবশেষে জামিন পেলেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ আরাবুলের জামিন মঞ্জুর করে। খুন, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দলবদ্ধভাবে আক্রমণের অভিযোগ ছিল আরাবুলের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা অন্য মামলাগুলিতে আগেই জামিন পেয়েছিলেন আরাবুল। বাকি মামলাতে জামিন পাওয়ায় জেল থেকে তিনি মুক্ত হবেন।
আরও পড়ুন: ‘আরাবুল জমানা’ কি শেষ? এবার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে তাঁকে সরাল তৃণমূল
এক আইএসএফ নেতাকে খুন, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কাশীপুর থানার পুলিশ। পরে তাঁর বিরুদ্ধে আরও দুটি ধারা যুক্ত করা হয়। যদিও প্রথম থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন আরাবুল। তাঁর দাবি ছিল, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। গ্রেফতার হওয়ার পরেও তাই নতুন নতুন ধারায় মামলা করা হচ্ছে। পরে ধৃত আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোট কতগুলি মামলা রয়েছে, তা কলকাতা পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি।
তবে পুলিশের কাছ থেকে সেই উত্তর না পাওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আরাবুলের স্ত্রী। আদালতে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন আরাবুল পত্নী।
এদিকে গ্রেফতারের পরেই আরবুলকে তৃণমূলের বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গ্রেফতারের পরে গত এপ্রিলে আরাবুলকে সাংগঠনিক পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁকে ভাঙড় বিধানসভার আহ্বায়কের পদে রাখা হয়েছিল। সেই পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। ফলে বর্তমানে তিনি তৃণমূলের একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে রয়ে গিয়েছেন।
অন্যদিকে, লোকসভা ভোট মিটতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি আরাবুলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন বিধায়ক শওকত মোল্লা। আরাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিনি লক্ষ-লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। এছাড়াও আইএসএফ-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন শওকত। সেই মন্তব্যের পর এবার আরাবুল জামিন পেলেন। আরাবুলের জামিনে খুশি তাঁর পরিবার।