এই বিষয়ে আজ বিধানসভার অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হয়। ঠিক কী বলেছেন অধ্যক্ষ? মদনের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মত বলে অভিহিত করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ইডি–সিবিআইয়ের অতি–সক্রিয়তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে আজ বিধানসভার অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হয়।
রাজ্য বিধানসভা অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এসএসকেএম নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন তিনি সংবাদমাধ্যমে। জল্পনা বাড়িয়ে নিজের পদত্যাগ করার কথা বলেছিলেন। এবার আবার রাজনীতি থেকে অবসরের কথা বলে শোরগোল ফেলে দিলেন রাজ্য–রাজনীতিতে। হ্যাঁ, তিনি কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। যাঁর এইসব মন্তব্য নিয়ে বিস্তর বিরক্ত বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আজ, সোমবার সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করলেন মদন মিত্র প্রসঙ্গে।
ঠিক কী বলেছিলেন মদন মিত্র? রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার জল্পনা বাড়িয়ে দিয়ে লাইমলাইটে থাকতে চাইলেন মদন। মদন মিত্রের কথায়, ‘এসএসকেএমে গিয়ে কী বলেছি মনে নেই। আমি হ্যালুসিনেশনে ভুগছি। আমার মুকুলের মতো অ্যালজাইমার্স হয়েছে। আমার কাছে পিজি মানে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট। অবসরের প্রস্তুতি নিচ্ছি, সচিন রিটায়ার করতে পারলে কেন আমি নয়? অবসর জীবনে ছোটদের পড়াব। মেসি, রোনাল্ডো, সচিন, ধোনি রিটায়ার করবে আর মদন মিত্র রিটায়ার করবে না? তবে আমি একটা জিনিস বুঝেছি, মানুষের সঙ্গে থাকতে হবে। মনে হচ্ছে আমাকেও পড়াশোনা করতে হবে। কারণ মনে হচ্ছে ব্যাকডেটেড হয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে এই বিষয়ে আজ বিধানসভার অধ্যক্ষকে প্রশ্ন করা হয়। ঠিক কী বলেছেন অধ্যক্ষ? মদনের বক্তব্যকে ব্যক্তিগত মত বলে অভিহিত করেছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বিধায়ক পদ ছাড়তে গেলে তো আমার কাছে আসতে হবে। মিডিয়ার কাছে তো আর বিধায়ক পদ ছাড়বেন না। সংবাদমাধ্যম উল্লসিত হতে পারে ওঁর কথা শুনে। কিন্তু বিধায়ক পদ ছাড়তে গেলে কী রীতিনীতি আছে তা মদন মিত্র ভাল জানেন।’ শনিবার দলকে চ্যালেঞ্জ করে মদন বলেছিলেন, ‘দরকার হলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। কিন্তু একমাসের মধ্যে ভোট করাবেন। আমি সোনালি গুহ নই, শুভেন্দু অধিকারী নই, দীনেশ ত্রিবেদী নই, মুকুল রায় নই, আমি মদন মিত্র।’