কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই এই জরিপের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জমি জরিপ করতে গিয়ে সেখানে মূল কাজ করতে পারছেন না রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা। আবার কলকাতা পুরসভার মূল আয়ের উৎস হল এই সম্পত্তিকর।
কলকাতা পুরসভা
শহরের ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল থেকে বাঁচাতে পুরসভাকে জরিপের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই ওয়াকফ সম্পত্তির জরিপ করছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু, সেই কাজ করতে গিয়েই দেখা দিয়েছে সমস্যা। কলকাতা পুরসভা রাজস্ব বিভাগের কর্মীদের এই জরিপের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সে ক্ষেত্রে পুরসভার রাজস্ব আদায় করে থাকেন এই কর্মীরাই। চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর কয়েক মাস বাকি। সাধারণত শেষের দিকেই সম্পত্তিকর আদায়ের উপর জোর দিয়ে থাকে পুরসভা। কিন্তু, তাদের উপর বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ায় নাজেহাল অবস্থায় পুর কর্মীদের।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই এই জরিপের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে জমি জরিপ করতে গিয়ে সেখানে মূল কাজ করতে পারছেন না রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা। আবার কলকাতা পুরসভার মূল আয়ের উৎস হল এই সম্পত্তিকর। সেক্ষেত্রে ইন্সপেক্টররা জরিপের কাজে ব্যস্ত থাকায় সম্পত্তিকর আদায়ের উপর জোর দিতে পারছেন না। বিভিন্ন সময়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম রাজস্ব আদায়ের উপর জোর দিয়েছেন। এই অবস্থায় আদৌও সেই কাজ কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুরসভার অন্দরে।
প্রসঙ্গত, এবছর রেকর্ড কর আদায় করেছে কলকাতা পুরসভা, যা গত বছরের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। তবে তাতে সন্তুষ্ট নন মেয়র। তাঁর বক্তব্য, কর আদায়ের পরিমাণ ১০০ শতাংশ করতে হবে। যেহেতু চলতি অর্থবছর শেষ হতে আরও চার মাস বাকি রয়েছে। ফলে শেষ চার মাসে আরও কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে পুরসভার। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা কতটা পূরণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ। এর পাশাপাশি ঠিকা জমিতে নতুন বাড়ি তৈরিরও প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। সেই সমস্ত আবেদন জমা পড়ার পর জমি পরিদর্শনের দায়িত্ব বিভাগের কর্মীদের উপর। আবার শহরের সমস্ত পুকুর জরিপের কাজও তাদের করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। এই অবস্থায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কর্মীরা।