ওই যুবকের নাম মহম্মদ রাজ। তিনি ট্যাংরার বাসিন্দা। গত সোমবার তিনি ট্যাংরা থেকে লক্ষীকান্তপুর যাচ্ছিলেন ট্রেনে করে। সেই সময় কোনওভাবে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে গেলে তার দুটি পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা হাঁটুর নিচে থেকে দুটি পা কেটে বাদ দেন।
এনআরএস হাসপাতাল।
ফের অমানবিক ঘটনা ঘটল সরকারি হাসপাতালে। ট্রেন দুর্ঘটনায় যুবকের ক্ষতিগ্রস্ত দুটো পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে বাদ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে যেতেই কাটা পা দুটি তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি যেতে বললেন নার্স। হাসপাতালের এমন ঘটনায় তাজ্জব পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে সকলে। এরপর তড়িঘড়ি পুলিশের তৎপরতায় কাটা পা দুটি মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। প্রসঙ্গত, রোগীর কোনও অঙ্গ বাদ গেলে সেক্ষেত্রে কী করনীয় তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। তা সত্ত্বেও নার্সের এমন কাণ্ডে ফের হাসপাতালে ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এমন ঘটনা আর কোথাও নয়, রাজ্যের অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতাল এনআরএসে ঘটেছে।
রোগী পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম মহম্মদ রাজ। তিনি ট্যাংরার বাসিন্দা। গত সোমবার তিনি ট্যাংরা থেকে লক্ষীকান্তপুর যাচ্ছিলেন ট্রেনে করে। সেই সময় কোনওভাবে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে গেলে তার দুটি পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা হাঁটুর নিচে থেকে দুটি পা কেটে বাদ দেন। পরে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে রাজের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। অভিযোগ তাদের দেখতে পেয়ে কর্তব্যরত নার্স রাজের কাটা দুটো পা ধরিয়ে দিয়ে বাড়ি যেতে বলেন। নার্সের এমন কাণ্ডে তাজ্জব হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পা দুটি নিয়ে কী করবেন বুঝতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা কাটা পা দুটি নিয়ে নেন এবং সেই পা নিয়েই রাজের সঙ্গে তারা দেখা করতে যান। তার পাশের বেডেই কাটা পা দুটি রেখে তারা রাজের সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স বিষয়টি দেখার পর তাদের বকাবকি করেন এবং সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এরপর কাটা পা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় এক কর্তব্যরত পুলিশকর্মী নজরে পড়ে বিষয়টি। তিনিও কাটা পা দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যদের বকাবকি করেন। কিন্তু, শেষমেষে পুলিশ কর্মী জানতে পারেন যে এক নার্স ওই কাটা পা দুটি ধরিয়ে দিয়েছেন। সেটি জানতে পারার পর পুলিশ কর্মীও কার্যত তাজ্জব হয়ে যান। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই পুলিশকর্মী। ওই বিভাগের নার্সদের সঙ্গে কথা বলে পা দুটি মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।