ভিনরাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বুধবার পথে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজ স্কোয়্যার থেকে শুরু করে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করবেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই মিছিলের প্রস্তুতিও চরমে। আর তারই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্ববিরোধিতার অভিযোগে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর প্রশ্ন, লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর, আসানসোলে বহিরাগত প্রার্থী দিয়েছিল কে?
সোমবার আলিপুরদুয়ারে জেলা বিজেপির সংবর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শমীকবাবু বলেন, ‘১৬ তারিখে বিশাল মিছিল। সব শেষে উনি বাঙালিকে ধরেছেন। মুর্শিদাবাদে কোনও বাঙালি প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে খুঁজে পাননি? উনি আসানসোলে কোনও বাঙালি প্রার্থী খুঁজে পাননি? মুখে বলছেন, উত্তর প্রদেশের খৈনির থুতুতে আমরা কলকাতার লোহায় জং ধরতে দেব না। আর বহিরাগতদের এনে কারা প্রার্থী করছেন পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা - লোকসভায়?’
বলে রাখি, ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনে ৩টি কেন্দ্রে ভিনরাজ্যের বাসিন্দাদের প্রার্থী করে তৃণমূল। বহরমপুরে প্রার্থী করা হয় গুজরাতের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। আসানসোলে প্রার্থী করা হয় বাসিন্দা শত্রুঘ্ন সিনহাকে। আর বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজ়াদকে। ৩ জনই তাঁদের কেন্দ্রে জয়ী হয়। কিন্তু তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পরই প্রশ্ন ওঠে, রাজ্যে কি তৃণমূলের প্রার্থীর এমনই অভাব পড়েছে যে ভিনরাজ্য থেকে প্রার্থী আমদানি করতে হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে কোথাও গোষ্ঠীদ্বন্দ ধামাচাপা দিতে আবার কোথাও চমকের রাজনীতি করে ভোট পেতে তৃণমূলের এই রণনীতি।