বঙ্গ বিজেপির মুখ বলতে এখন শুভেন্দু অধিকারীই। এটা স্বীকার করেন অনেকেই। আদি বিজেপিরা কার্যত পেছনের সারিতে। দলে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে শুভেন্দুর। বাংলা থেকে কারা রাজ্যসভার প্রার্থী হবেন তা নিয়েও এবার প্রাথমিকভাবে ঠিক করবেন শুভেন্দু অধিকারী।
সূত্রের খবর, বাংলা থেকে রাজ্যসভার ভোটে কারা প্রার্থী হবেন তার তালিকা ওপরমহলে জমা দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে সেই তালিকা কতটা সবুজ সংকেত পাবে তা নিয়ে অবশ্য সন্দেহটা থেকেই গিয়েছে।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের গুড বুকে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে তাঁর মতামতকে যে গুরুত্ব দেওয়া হবে সেটা বলাই বাহুল্য। তবে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেই শুভেন্দু তালিকা পাঠাবেন, এমনটাই খবর দল সূত্রে।
২৪শে জুলাই রাজ্যসভার ভোট। তার আগে নিজেদের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন সব দলের নেতৃত্বই। তবে বাংলা থেকে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অন্তত বঙ্গ বিজেপির স্তরে শেষ কথা বলবেন শুভেন্দুই। এক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারীর মতামতকে যে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তা দল সূত্রে খবর।
তবে এবার বাংলা থেকে রাজ্যসভার প্রার্থী করা নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছে বিজেপি। এমন কাউকে প্রতিনিধিত্ব করাতে চাইছে বিজেপি যাঁর গ্রহণযোগ্যতা অপরিসীম। সেক্ষেত্রে তিনি কোনও জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন, জনপ্রিয় ফিল্ম স্টার হতে পারেন অথবা ক্রীড়া জগতের কোনও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হতে পারেন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমীকরণের দিকটাও খতিয়ে দেখা হবে বঙ্গ বিজেপির তরফে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে রাজবংশী ভোট একটা বড় ফ্য়াক্টর। সেকারণে এমন কাউকে প্রতিনিধিত্ব করাতে চাইছে বিজেপি যাতে রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্ক অটুট থাকে। দলের অন্দর থেকেও এই দাবি উঠতে শুরু করেছে। তবে এনিয়ে আবার অন্য দিকও রয়েছে। যে গ্রেটার নেতার নাম নিয়ে জল্পনা চলছে তিনি আবার পৃথক রাজ্যের দাবি বার বারই তোলেন। সেক্ষেত্রে তিনি রাজ্যসভায় গেলে যদি ওই দাবি তোলেন তবে হিতে বিপরীত হতে পারে বিজেপির। সেকারণেই সব দিক খতিয়ে দেখেই তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে গেরুয়া শিবির।
অন্যদিকে এই প্রার্থী হওয়া নিয়ে যাতে দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব না ছড়ায় সেটাও দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দলের বিধায়কদের সঙ্গে সমস্ত আলোচনা করেই তালিকা পাঠাবেন শুভেন্দু। এমনটাই খবর।