ওরা অপরাধের সাজা ভোগ করছে। অর্থাৎ জেল খাটছে। একেক জনের একেক রকম অপরাধ। কিন্তু সাজা শেষ হয়নি। তাই তারা বিচারাধীন বন্দি। কিন্তু তা বলে তারা কী বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব থেকে বঞ্চিত থাকবে? উত্তর, না–বঞ্চিত থাকবে না। দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে ভুরিভোজের আয়োজন থাকছে প্রেসিডেন্সি এবং কৃষ্ণনগর সংশোধনাগারের বন্দিদের জন্য। মহালয়া থেকেই পাতে পড়ছে জিভে–জল আসা মেনু। আর পুজোর দিনে তো মহাভোজ। উদ্দেশ্য একটাই, উৎসবের আনন্দ একটু ভাগ করে নেওয়া।বাইরের সঙ্গে তাদের কোনও যোগাযোগ নেই। থিম–সাবেকিয়ানা এসব তারা দেখতে পায় না। ঢাকের আওয়াজ পায়। শহর থেকে গ্রামবাংলা কাশফুলে ভরে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জমকালো আলো সর্বত্র পরিবেশকে উৎসবের আমেজে রাঙিয়ে দিয়েছে। আর সংশোধনাগারের বন্দিদের জন্য উৎসবের মেজাজ পৌঁছে দিতে এই ভুরিভোজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কী মেনু প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দিদের পাতে? এই সংশোধনাগার সূত্রে খবর, আবাসিকদের জন্য তৈরি মেনুতে রয়েছে আলু–ঝিঙে পোস্ত, আলুর দম, মাছের মাথা দিয়ে তরকারি, মুগের ডাল। মহাসপ্তমীর দিন পাতে পড়বে মাংস। বিজয়া দশমীর দিন আবাসিকদের জন্য মাংসের পাশাপাশি নবরত্ন সবজি, পায়েস, চাটনি এবং মিষ্টির রাখা হয়েছে।আর কৃষ্ণনগর জেলের পুজো মেনু কার্ডে রয়েছে, সপ্তমীর ব্রেকফাস্টে ঘুগনি–মুড়ি। অষ্টমীর সকাল শুরু হবে পায়েস ও মুড়ি দিয়ে। নবমীর সকালে পাতে পড়ছে ঘুগনি এবং পাউরুটি- দশমীর সকালের মেনু বাপুজি কেক এবং লাড্ডু। তবে মধ্যাহ্নভোজে থাকছে—সপ্তমীর দুপুরে সাদা ভাত, দই কাতলা, মুগ ডাল এবং বাঁধা কপির ঘন্ট। অষ্টমীর দুপুরের মেনুতে থাকছে খিচুড়ি, আলুর দম, পাপড় এবং চাটনি। নবমীর দুপুরে থাকছে ভাত, মুরগির মাংস, মুসুর ডাল, শুক্তো এবং চাটনি। দশমীর দুপুরে ভাত, মুরগির মাংস, মুসুর ডাল এবং ছ্যাঁচড়া সবজি। নৈশভোজে থাকছে নানা পদ বলে জানিয়েছেন জেলের সুপার।