২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ক্ষুদ্র শিল্পের প্রসারে জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে দেশের মধ্যে এই শিল্পক্ষেত্রে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজ্য। এ বার তাকে প্রথম স্থানে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে সংস্থাগুলিকে ঋণপ্রদানের পরিমাণ আর বৃদ্ধি করল রাজ্য সরকার।নবান্ন সূত্রে খবর, চলতি আর্থিক বছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১ লক্ষ ১০ হাজার কোটি টাকা ঋণপ্রদানের পরিমাণ ধার্য করছে রাজ্য। যা গত আর্থিক বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গত আর্থিক বছরে এই ঋণপ্রদানের পরিমাণ ছিল ৭০ হাজার কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে এই পরিমাণ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বর্ধিত ঋণের পরিমাণের ৩৪ শতাংশ ইতিমধ্যেই মঞ্জুর করা হয়েছে।করোনার সময় বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি ধাক্কা খেয়েছে ক্ষুদ্র শিল্পও। সেই সময় ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই শিল্পক্ষেত্রে ঋণপ্রদানের পরিমাণ (ক্রেডিট লেডিং) ৮৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বেড়ে হয় এক লক্ষ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে ঋণপ্রদানের পরিমাণ আরও ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে। এই ঋণের সাহায্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলি তাদের পরিধি বাড়াতে পারবে. ফলে নতুন কর্মসংস্থানেরও সম্ভাবনা তৈরি হবে।সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোরে প্রশিক্ষণপাপ্ত যুবক-যুবতীদের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন,রাজ্য প্রায় ৯০ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে, যেখানে প্রায় এক কোটি ৩৬ লক্ষ লোক কাজ করে। তাই রাজ্য চায়, ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে এই শিল্প ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে।