চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) নির্বাচনে ফের রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। এনিয়ে টানা সাতবার তিনি আইএমএ'র রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হলেন। গত দু’মাস ধরে ভোট চলার পর বুধবার ভোট গণনা হয়। তাতে দেখা যায়, শান্তনু সেন পেয়েছেন ৪৩০টি ভোট এবং তাঁর বিপক্ষে পড়েছে ১১৬ টি ভোট। গণনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির আশঙ্কায় এদিন পুলিশ এবং বাউন্সার রাখা হয়েছিল। যা নজিরবিহীন বলেই জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল।
আরও পড়ুন: ‘বাধ্য হয়েই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে’, আইএমএ’র প্রার্থী শান্তনু সেন
আইএমএ নির্বাচনে রাজ্য সম্পাদক পদে মোট তিন জন প্রার্থী ছিলেন। তার মধ্যে শান্তনুর নিকটতম প্রার্থী সুকান্ত চক্রবর্তী পেয়েছেন ১১৬ টি ভোট এবং তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ২৬ টি ভোট। বুধবার আইএমএ’র রাজ্য দফতরে ভোট গণনা হয়। যদিও প্রথমদিকে ভোটে লড়বেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্তনু সেন। তিনি বলেছিলেন, যে চিকিৎসকদের সংগঠনে রাজনৈতিক নেতাদের থাকা উচিত নয়। তবে অনেকের কাছ থেকে অনুরোধ পাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন শান্তনু। একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর রাজ্য সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। আর শেষ পর্যন্ত তাতে জয়ী হলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্য সরকারের মনোনীত সদস্য হিসেবে তিনি মেডিক্যাল কাউন্সিলে ছিলেন। তবে সেই পথ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের তরফেই তাঁকে অপসারণ করা হয়েছিল। শান্তনু সেন জানান, দলের অনুমতি নিয়ে তিনি আইএমএ’র ভোটে লড়েছেন।
এদিকে, আইএমএ’র ভোট গণনায় বাউন্সার নিয়োগ করার বিষয়ে শান্তনু বলেন, ‘আইএমএ হল ডাক্তারদের সবচেয়ে বড় একটি সম্মানীয় সংগঠন। এখানে ভোট করা জন্য পুলিশি নিরাপত্তা নিতে হয়েছে বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী রাখতে হয়েছে এটা অত্যন্ত দুঃখের। তবে কয়েক মাস আগে হাওড়া স্টেট কাউন্সিলের বৈঠক করার সময় আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেখানে ভোটকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তাণ্ডব চলেছিল। সিনিয়র ডাক্তারদের মারধর করা হয়েছিল। আইএমএ’র সম্পত্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি মাইক ও ব্যালট পেপার চুরি হয়েছিল। সে কথা মাথায় রেখে এদিন ভোট গণনা যাতে শান্তিপূর্ণ হয় তার জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’
এর পাশাপাশি এদিন ভোট গণনার ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়। যদিও ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। তবে সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন শান্তনু। তিনি জানান, ভোট গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত বিরোধীরা ছিলেন। তারা সবকিছু নিজের চোখে দেখেছেন। যদি তারা এই কথা বলেন তাহলে বুঝতে হবে যে তারা ডাক্তারদের রায় মানতে চাইছেন না।