কলকাতার রাজপথে উঠেছে স্লোগান ইনকিলাব জিন্দাবাদ। বিপ্লবের স্লোগান। ৩৪ বছর ধরে এই ছবির সঙ্গে পরিচিত ছিল বাংলা। তবে ২০১১ সালের পর থেকে এই ছবিটা ক্রমশ ফিকে হতে শুরু করে।
এপ্রিলের চাঁদিফাটা গরমে বামেদের ব্রিগেড। তবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বার বারই দাবি করছেন এটা মুখোশধারী রাম বামের ব্রিগেড। এবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। তার উপরে ক্য়াপশানে তিনি লিখেছেন,'ইনকিলাব জয় শ্রীরাম। সেই সঙ্গে যে ভিডিয়ো তিনি পোস্ট করেছেন তাতে একজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, একজন বলছেন আমি বামফ্রন্ট করি।আমার ছেলে বিজেপির শক্তিকেন্দ্রের নেতা। আমার কথা হল বিজেপি ও বামফ্রন্টে যে সব আছি আমরা যেখানে ক্ষমতায় আছি সেখানে সেই পার্টিকে জেতানোর জন্য আমরা একত্রিত আছি। পুরো জামালপুর থানা আমরা একত্রিত আছি। আমরা টিএমসিকে সরানোর জন্য আমার বামফ্রন্ট জিততে পারবে না এটা আমরা জানি কিন্তু ওখানে একত্রিত হয়ে আমরা ভারতীয় জনতা পার্টিকে জিতিয়ে আনব।' ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তি হাতে একটি কাগজ ধরে রয়েছেন। সেই কাগজটি আসলে ২০২১ সালের ভোটের পোলিং এজেন্টের এন্ট্রি পাস।
তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সিপিএম ও বিজেপির মধ্যে তলায় তলায় বোঝাপড়া রয়েছে। তার জেরে কিছু জায়গায় সিপিএমের লোকজন তলায় তলায় বিজেপির পাশে থেকে তৃণমূলকে পরাস্ত করার চেষ্টা করে বলে খবর। আর তারই প্রামাণ্য ভিডিয়ো নিয়ে হাজির তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
তবে বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য়ই বার বার দাবি করেন আসল বোঝাপড়াটা সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের। তৃণমূল বরাবরই সিপিএমকে মাঠ ছেড়ে দেয়। মূলত সিপিএম বাংলায় ফের কিছুটা ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে আখেরে সুবিধা হয় তৃণমূলের। মূলত বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হয়ে যায় বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে। আর তার জেরে সুবিধা পেয়ে যায় তৃণমূল। অতীতের একাধিক বিধানসভা ভোটে সেই ছবি দেখা গিয়েছে বাংলায়।
তবে তলায় তলায় ঠিক কার সঙ্গে কার সেটিং, বলা ভালো সলিড সেটিং, সেটা অবশ্য় খালি চোখে দেখা যায় না। তবে ভোটের ফলাফলে ইঙ্গিত মেলে কিছুটা।
তবে সিপিএম নেত্রী বন্যা টুডু বলেন, ২০২৬ এ উইকেট আমরা ফেলব। প্রত্যেকটা বুথ আমাদের চোখের মধ্য়ে থাকবে। কোন বুথ এদিক ওদিক হচ্ছে।
সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, তৃণমূল বিজেপি পরস্পরকে গালাগালি দেয়। তবে স্ক্রিপ্টটা একজনই লিখে দিয়েছে। সেটা একজনই লিখে দেন সেটা হল আরএসএস। আরএসএসের মোহন ভাগবত কিছুদিন আগে এসেছিলেন।