শিক্ষক ও শিক্ষক কর্মীদের চাকরি-বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আরও নির্দেশ ছিল, যারা ‘অযোগ্য’ বলে চিহ্নিত তাঁদের বেতন ফেরাতে হবে। কিন্তু, সেই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে না এমনই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কেন কার্যকর হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। এনিয়ে একদিনের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানাতে বলেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: যোগ্য-অযোগ্য তালিকা না পাওয়া পর্যন্ত স্কুলে যেতে না চাকরিহারাদের, সোমে ধরনা
শীর্ষ আদালত ২০১৬ সালের এসএসসির গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে। তাতে শিক্ষক অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে প্রায় ২৬,০০০ জনের চাকরি গিয়েছে। এই মামলার রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছিল, অনিয়ম হয়েছে, তবে যোগ্য এবং অযোগ্যদের আলাদাভাবে শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় শীর্ষ আদালত গোটা প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই যারা অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত তাঁদের বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। এর পাশাপাশি এসএসসিকে উত্তরপত্র এবং ওএমআর শিট প্রকাশ করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। কিন্তু, সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি বলেই অভিযোগ ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, সুপ্রিম যে নির্দেশ দিয়েছে তা কেন কার্যকর করা হয়নি?
এর পাশাপাশি এদিন সিবিআইকেও ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। নির্দেশ ছিল অযোগ্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। সোমবার সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি বসাকের প্রশ্ন, অযোগ্যরা কীভাবে চাকরি পেলেন? কাকে টাকা দিয়েছিলেন? সেই সমস্ত তথ্য জানার জন্য কেন অযোগ্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন করে ডিভিশন বেঞ্চআগামী বুধবার মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন এসএসসি এবং সিবিআইকে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেছে হাইকোর্ট। যদিও এসএসসির তরফে আইনজীবী আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই আবেদন সাড়া দেয়নি হাইকোর্ট। ফলে বুধবারই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।