
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ছবির পোস্টারে নজর কাড়েন তারকারাই। প্রচারের ক্ষেত্রেও তাঁদেরই বেশি দেখা যায়। মূলত অভিনেতাদের টানেই দর্শক জমে হলগুলোতে। তাই তাঁদের পারিশ্রমিকও যে বেশ ভালো তা বলাই বাহুল্য। তবে এমন কিছু কিছু পরিচালক আছেন যাঁদের নামই যথেষ্ট। তাঁদেরও গুণ-মুগ্ধ ভক্তের শেষ নেই। তাঁদের ছবি এলেও দর্শকরা হলে ভিড় জমান। জনপ্রিয়তার দিক থেকে তাঁরা অভিনেতাদের থেকে কোনও অংশে কম নয়। শুধু কি তাই পারিশ্রমিকের দিক থেকেও সমকক্ষ, কিছু কিছু সময় এক্ষেত্রে পরিচালকরা এগিয়েও থাকেন।
তেমনই একজন হলেন তেলুগু চলচ্চিত্র নির্মাতা এসএস রাজামৌলি। তিনি বর্তমানে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত পরিচালক। আইএমডিডি অনুসারে, পরিচালক তাঁর প্রতিটি ছবির জন্য প্রায় ২০০ কোটি টাকা নিয়ে থাকেন। ব্যবসায়ী সূত্র জানায় যে, এর মধ্যে তাঁর অগ্রিম পারিশ্রমিক, লাভের ভাগ এবং স্বত্ব বিক্রির বোনাসও অন্তর্ভুক্ত থাকে। একটা ছবি যত বেশি আয় করবে, তার ভাগ তত বেশি হতে পারে। ‘আরআরআর’-এর ক্ষেত্রে, এটা প্রায় ২০০ কোটি টাকা ছিল। রাজামৌলি তাঁর বাহুবলী ফ্র্যাঞ্চাইজির সাফল্যের জন্যও এই পরিমাণ পারিশ্রমিক অর্জন করেছিলেন।
২০০ কোটি টাকার পারিশ্রমিক রাজামৌলিকে দেশের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র শিল্পীদের একজন করে তুলেছে। শাহরুখ খান, সলমন খানের মতো সুপারস্টাররাও প্রতি ছবিতে ১৫০-১৮০ কোটি টাকা আয় করেন, তা রাজামৌলির আয়ের বেশ কম।
আরও পড়ুন: আগামী বছরেই বিয়ের পিঁড়িতে বনি-কৌশানি? জানেন কীভাবে শুরু হয়েছিল তাঁদের প্রেম
তবে একথাও সত্যি যে তাঁর এই সাফল্যের নেপথ্যে তিনি নিজেই। কারণ দুই দক্ষিণী তারকা রাম চরণ এবং জুনিয়র এনটিআর থাকা ছবি 'আর আর আর' উত্তরেও সারা ফেলে দিয়েছিল। আর তাঁর নেপথ্যে ছিল রাজামৌলির আরও একটি ছবি ‘বাহুবলী’-এর সাফল্য। 'বাহুবলী' তাঁকে সমগ্র ভারত জুড়ে একটি মুখ হতে সাহায্য করেছে। ‘বাহুবলী ২’-এর হিন্দি সংস্করণই শুধু ৫১০ কোটি আয় করেছিল। ছয় বছর ধরে হিন্দিতে সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি হিসেবে ‘বাহুবলী’ রাজ করেছে। তারপর ২০২৩ সালে ‘পাঠান’ এই রেকর্ড ভাঙে। অন্যদিকে, 'আরআরআর'-এর হিন্দি সংস্করণও ২৭০ কোটির বেশি আয় করেছিল।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে জানা যায়, রাজামৌলি সে পারিশ্রমিক নেন তাঁর অর্ধেকও অন্য কোনও পরিচালক নেন না। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙা, প্রশান্ত নীলরা ছবি প্রতি প্রায় ৯০ কোটি নেন। অন্যদিকে, রাজকুমার হিরানি নেন ৮০ কোটি। সুকুমার, সঞ্জয় লীলা বনশালি, লোকেশ কানাগরাজ এবং সিদ্ধার্থ আনন্দ রয়েছেন আর একটু পিছনে। তাঁরা ছবি প্রতি ৪০ কোটি টাকার বা তার কিছু বেশি নেন । করণ জোহর এবং রোহিত শেট্টির মতো নির্মাতারা সাধারণত তাঁদের নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা থেকেই ছবি তৈরি করেন, ফলে তাঁরা আর আলাদা করে কোনও পারিশ্রমিক নেন না। ছবির লভ্যাংশটাই তাঁরা পান।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports